পাতা:যুগান্তর - শিবনাথ শাস্ত্রী.pdf/২৮৩

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

উনবিংশ পরিচ্ছেদ অনেক দিন হইল। আমরা তর্কভূষণ মহাশয়ের কনিষ্ঠ কন্যা ভুবনেশ্বরীকে ভুলিয়া রহিয়াছি। ভুবনেশ্বরী প্রথম শ্বশুর ঘর করিতে গিয়া বিনা দোষে নিগ্ৰহ সহ কািরয়া পূজার সময় পিত্ৰালয়ে আসিয়াছে, এইমাত্র সকলে অবগত আছেন। সে হইল। ১৮৫৩ সালের দুর্গোৎসবের সময়। ভুবনেশ্বরীকে আনিবার সময় কথা ছিল যে, তৎপরবত্তী মাঘ মাসে রামরতন মুখুয্যে মহাশয় তাহাকে লইবার জন্য লোক পাঠাইবেন। তদনুসারে ১৮৫৪ সালের মাঘ মাস পড়িলেই ভুবনেশ্বরীকে লইবার জন্য নশিপুরে লোক আসিয়াছিল। কিন্তু ভুবনেশ্বরী তাহার প্রথম বারের নিগ্রহের কথা, ও শ্বশুর বাড়ীতে যাহা দেখিয়াছিল ও শুনিয়াছিল, তাহার কিছু কিছু বিবরণ বিজয়াকে ও নিজ জননীকে বলিয়াছিল। সেই সকল শুনিয়া গৃহিণী কুপিত হইয়াছিলেন। তিনি মাঘ মাসে ভুবনেশ্বরীকে পাঠাইলেন না ; বলিলেন, —“এই সেদিন এসেছে ; কিছুদিন থাক্‌ না।” পাঠান ত হইল না; অধিকন্তু সমাগত দাসীর দ্বারা বৈবাহিক গৃহিণীকে অনেক ভৎসনা করিয়া পাঠাইলেন । । এত কথা তর্কভূষণ মহাশয় কিছুই জানিতে পারিলেন না। তিনি পত্রে এইমাত্র লিখিলেন,-“ছেলে মানুষ কয়েক মাস মাত্র আসিয়াছে, এখনও আরও কয়েক মাস থাক। জ্যৈষ্ঠ মাসে শ্ৰীমান জ্ঞানেন্দ্রনাথ বাবাজীকে জামাই-ষষ্ঠীর সময়ে আনিতে লোক যাইবে । আমনি বাবাজীর সঙ্গে শ্ৰীমতীকে প্রেরণ করা যাইবে।” তর্কভূষণ মহাশয়ের পত্ৰ পাইয়া মুখুয্যে মহাশয় সন্তুষ্ট হইলেন ; কিন্তু মুখুয্যে গৃহিণী দাসীর মুখে আরও কিছু অধিক সমাচার পাইয়া আগুন হইয়া রহিলেন ।