পাতা:যুগান্তর - শিবনাথ শাস্ত্রী.pdf/২৮৭

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

R78 যুগান্তর সেখানে গতায়াত করা অভ্যাস হইয়া গেল। প্ৰথমে এই সকল কথা গোপনে ছিল, কিন্তু ১৮৫৬ সালে চৈত্র মাসে খাতা পত্র নিকাষ করিবার সময় রাজেন্দ্ৰ ব্ৰজেন্দ্রের অংশীদার জানিতে পারিল যে, জ্ঞানেন্দ্ৰ দোকানের অনেক টাকা ভাঙ্গিয়াছে। কি করিয়াছে ? সে টাকা কোথায় গিয়াছে ? অনুসন্ধান করিতে করিতে সমুদায় কথা বাহির হইয়া পড়িল । সে জুয়া খেলিয়া সেই টাকা উড়াইয়াছে। ১৮৫৬ সালের বৈশাখ মাসে রাজেন্দ্র ও ব্রজেন্দ্ৰ বাটীতে আসিয়া এই কথা শুনিল ও একদিন তাহাদের পিতার সমক্ষেই এই বিষয় লইয়া তিন ভ্রাতাতে ঘোর বিবাদ হইয়া গেল। রাজেন্দ্ৰ । গাধা, হতভাগা, পাজি, তোমার ভালর জন্যেই একটা কাজ দেখিয়ে দিয়ে গেলাম, ভিতরে ভিতরে এই কাণ্ড । জ্ঞানেন্দ্র। মিছে গালাগালি দি ও না বলছিা! রাজেন্দ্র। গালি দেব না, হাজার বার দেব। জুতিয়ে হাড় ভেঙ্গে দেব জানিস। জ্ঞানেন্দ্র । উঃ, ঢের জুত দেখেছি। ব্ৰজেন্দ্ৰ। বল র্যালকেল, এতগুলো টাকা নিয়ে কি কবুলি বল ? টাকা অমনি মাঙ্গনা আসে, না ? যদি টাকা রোজগার করতে হতো তবে বুঝতে পারুতিস! বল না। টাকা কি করুলি ? জ্ঞানেগ্রািদ নিরুত্তর । 数 রাজেন্দ্র । জবাব থাকলে তা জবাব দেবে, ওর গুষ্টীর পিণ্ডী করেছে, জুয়ো খেলে উড়িয়েছে। মুখটাে দেখ না, ইচ্ছে করে এক লাথি মেরে দাঁতগুলো ভেঙ্গে দি ; গাধা, নািচ্ছার । জ্ঞানেন্দ্র। আর লাথি মারতে হয় না, তুই গাধা, তুই নচ্ছার। রাজেন্দ্র । কি এত বড় আস্পদ্ধা, দুষ্কৰ্ম্ম করে আবার চোখ রাঙ্গানি !