পাতা:যুগান্তর - শিবনাথ শাস্ত্রী.pdf/২৯

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

NB बूनेंद्धिब्र গৃহিণী। আলাই বালাই, কিসের বয়েস! তোমরাই মেনে বয়েল দেখ ! ও আমার কালকের ছেলে ; সবে সতের বছর ; ষোটের বাছা ষষ্ঠীর দাস, ও আমার বেঁচে থাক । অমনি সন্তানের প্রতি এক ঝলক ভালবাস উথলিয়া উঠিল; স্নেহে তাহার মস্তক নিজবক্ষে ধারণ করিলেন। ভবেশ । ( আদরে মাতার কণ্ঠলিঙ্গন করিয়া ) দেখা ছোট।পিসি ! আমাদের এই মাটা যেন মিছরির কুঁদে । বিজয় । তা সত্যি ! i. ক্ৰমে রমণীগণ রন্ধনশালার দিকে গমন করিলেন, ভবেশ তাহার ঘরে গিয়া পড়িতে বসিঁল। রাত্রিকালে বিজয়ী শয্যাতে শয়ন করিয়া নিজের নশিপুরে থাকিবার বিষয় অনেক চিন্তা করিয়াছেন। মুমূর্ষুপতির মৃত্যু-শয্যার সে আদেশটা তিনি কোনক্রমেই অতিক্রম করিতে পারিতেছেন না। প্রেমের কি স্বধৰ্ম্ম । মৃত ব্যক্তির চরিত্রের গুণাবলী প্ৰেমাস্পদের চিত্তের উপরে দ্বিগুণ বলের সহিত কাৰ্য্য করে । নন্দকিশোর বন্দ্যোপাধ্যায়কে বিজয়া এখন যেরূপ নিকটে অনুভব করিতেছেন, বােধ হয় জীবদ্দশাতে তত করেন নাই। তাহার এক একটী কথা ও এক একটী কাজ যেন জীবন্ত হইয়া তাহাকে শাসন করিতেছে। তিনি ভাবিয়া চিন্তিয়া স্থির করিলেন,-“দেবীরগণ আমাকে তাড়াইয়া না দিলে আমি তঁহাদিগকে ত্যাগ করিয়া দূরে থাকিতে পারি না।” বিন্ধ্যবাসিনীর শিক্ষার বিষয়ে এই স্থির করিলেন যে, এ বিয়ষটা জ্যেষ্ঠের নিকট গোপন করা বিধেয় নয়; তৎপর । निश् সমুদায় কথা ভাঙ্গিয়া বলিবেন ; যদি সে বিষয়ে জ্যেষ্ঠের অমত হয়, তাহাকে বাধ্য হইয়া কলিকাতায় থাকিতে হইবে। : পরদিন মাধ্যাহিক আহারের পর বিশ্রামান্তে তর্কভূষণ মহাশয় উঠিয়া