পাতা:যুগান্তর - শিবনাথ শাস্ত্রী.pdf/২৯৪

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

RF> মনে হইতেছে। অনেক দিনের পর পিতামাতাকে নিজের দুঃখের ংবাদ দিবার জন্য মন ব্যস্ত হইতেছে। কিন্তু কি করিয়া সংবাদ দিবে ? নিজে লেখাপড়া জানে না, যে চিঠি লিখিবো। গৃহস্থের কুলবধু ংবাদ পায় না, উলোর কেহ নশিপুরের দিকে যায় কিনা। হাতে একটা পয়সা নাই, যে কোনও লোককে দিয়া সংবাদ পাঠায়, আর শ্বশ্রীর অজ্ঞাতসারেই বা তাহা কিরূপে করে ? জানিতে পারিলে শ্বশ্ৰ সাজার কিছু বাকি রাখিবেন না। ভুবনেশ্বরী ভাবিয়া ভাবিয়া কুল কিনারা কিছুই দেখিল না। অবশেষে জ্যেষ্ঠ বন্ধু এক সন্ধান বলিয়া দিলেন। যাদু নামে একটী বালক সৰ্ব্বদা তাঁহাদের বাড়ীতে আসিত। সে স্কুলে পড়ে। বড়বীে পরামর্শ দিলেন যে সেই যদুর দ্বারা গোপনে পত্র লিখিয়া ডাকে ফেলিয়া দিলে নশিপুরের লোকে পাইতে পারেন। বড়বে। এ বিষয়ে প্রধান উদ্যোগী হইয়া একদিন রবিবার বৈকালে, গৃহিণীর অনুপস্থিতিকালে তাহার নিজের ঘরে যাদুকে ডাকিয়া ভুবনেশ্বরীর জবানি পত্ৰ লিখাইলেন। সে পত্র পরদিন যদুর হাত দিয়া ডাকে দেওয়া হইবে, স্থির রহিল। একথা যে শ্বশ্রার কাণে কি প্রকারে গেল, তাহা বলা যায় না। তিনি সন্ধার সময় ভুবনেশ্বরীকে জিজ্ঞাসা করিলেন, “যদুকে বৈকালে কোন ডাকান হয়েছিল ?” ভুবন । সে ত রোজই আসে । গৃহিণী। সে তা জানি। আজ তাকে ডাকিয়ে আনা হয়েছিল। কিনা ? ভুবন । ( বিশ্বনাথ তর্কভূষণের কন্যা মিথ্যা কথা কখনও বলে নাই।) ( ধীরভাবে ) হঁা হয়েছিল ? গৃহিণী। কেন ? ভুবন। একখান চিঠি লেখবার জন্যে। গৃহিণী। কাকে ?