পাতা:যুগান্তর - শিবনাথ শাস্ত্রী.pdf/৩০২

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

विश्वं *ि 象冷° বাগানে লইয়াছেন। তিনি উত্তর দিলেন যে, প্রাচীরের পার্থে রাস্তার জন্য জমি রাখিয়া পাশ্ববৰ্ত্তী গ্রামের প্রজাদের সন্মতিক্রমে ঘিরিয়া লওয়া হইয়াছে। বাদিগণ উত্তর করিল, যে রাস্তা দিয়াছেন সে রাস্তাতে যাইতে হইলে অনেক বাকিয়া যাইতে হয়, বিশেষতঃ যে জমি দিয়াছেন, তাহা যথেষ্ট নহে, গরু, হাল, খড়ের বোঝা প্রভৃতি লইয়া সে রাস্তা দিয়া ७ ठं न८श । বিচারক তর্কভূষণ মহাশয়ের সদভিপ্ৰায় বুঝিতে পারিলেন। কিন্তু র্তাহার হাত কি ? সাধারণের এতকালের যাতায়াতের রাস্তা বাহাল রাখিতে তিনি আইনানুসারে বাধ্য। অবশেষে বাদিদের সন্মতিক্রমে এই রায় হইল, যে তর্কভূষণ মহাশয়কে প্রাচীর ভাঙ্গিয়া লইয়া আরও দুই হাত। জমি রাস্তার জন্য দিতে হইবে। যে দিন এই মকদ্দমাতে বাদীদিগের জয় হইল, সে দিন ঢাক ও কাড়ার শব্দে নশিপুর গ্ৰাম কঁাপিয়া যাইতে লাগিল। সন্ধ্যার পর একদল লোক তর্কভূষণ মহাশয়ের ভবনের দ্বার দিয়া বাদ্যোদ্যম সহকারে, তঁহাকে নাম ধরিয়া ঠাট্টা ও বিদ্রুপ করিতে করিতে চলিল। শঙ্কর দেখিলেন। সে দলের মধ্যে চিমে ঘোষ ও জহরলাল অগ্রগণ্য । দলের মধ্যে কেহ শিয়াল ডাকিতেছে ; কেহ বিড়াল ডাকিতেছে ; কেহ কুকুরবৎ চীৎকার করিতেছে ; এবং কেহ কেহ বিকৃত অঙ্গভঙ্গী পূৰ্ব্বক নাচিয়া তর্কভূষণ মহাশয়ের ও র্তাহার পরিবারস্থ ব্যক্তিগণের নামে ছড়া গাইতেছে। তৰ্কভূষণ মহাশয় না হইলে, সে দিন অন্য কেহ শঙ্করকে ও ছাত্রগণকে ধরিয়া রাখিতে পারিত না। তর্কভূষণ মহাশয় বললেন,-“নীচের সঙ্গে তোমরাও নীচ হবে ? উহাদের যেরূপ প্ৰকৃতি সেইরূপ আচরণ করছে, - করুক।” কাজেই সকলকে নিরস্ত হইতে হইল। কিন্তু যে রক্তারক্তি নিবায়ণের আশায় তিনি স্বীয় গৃহের যুবকগণকে নিষেধ করিয়া রাখিলেন,