পাতা:যুগান্তর - শিবনাথ শাস্ত্রী.pdf/৩০৫

na R *哥 - রাত, রাতকে দিন করিতে পারেন। সাক্ষীরাই , বা অঞতুল কি ? – ইংরাজের আদালতের সৃষ্টির সঙ্গে সঙ্গেই এমন একদল লোকের স্থষ্টি হইয়াছে, মিথ্য সাক্ষ্য দেওয়া যাহাঁদের ব্যবসায় । বিশেষ, বাবুদের অনুরোধে গ্রামের কোন লোক না মিথ্যা সাক্ষ্য দিবে ? যাহা হৌক, তর্কভূষণ মহাশয় সমান পাইয়া কিছুই চঞ্চলত প্ৰকাশ করিলেন না ; ধীর ভাবে একটু হাসিয়া বলিলেন,-“ধৰ্ম্মভয় যাহাঁদের নাই, তাহারা করিতে পারে না। এমন গহিত কৰ্ম্মই নাই।” ওদিকে গ্রামের লোকে যখন জানিতে পারিল যে, বিনা অপরাধে তর্কভূষণ মহাশয়কে ফৌজদারী আদালতে আসামী করিয়াছে, তখন আবালবৃদ্ধ-বনিতা সকলেই ক্ষেপিয়া একেবারে আগুন হইয়া উঠিল। সকলেই ছি ছিা করিতে লাগিল । ব্ৰাহ্মণগণ দলে দলে জমিদার বাবুর নিকটে গিয়া এমন কাৰ্য্য হইতে প্ৰতিনিবৃত্ত হইবার জন্য অনুরোধ করিতে লাগিলেন। তর্কভূষণ মহাশয়ের বাড়ীতে সৰ্ব্বদাই চতুষ্পাশ্বস্থ গ্রামের চাষা লোকের ভিড়। তাহারা জানিতে আসিয়াছে। এ সংবাদ সত্য কি না? অবশেষে দলে দলে প্ৰজা জমিদার বাবুর কাছারিতে গিয়া এমন কাজ হইতে নিবৃত্ত হইবার জন্য প্রার্থনা জানাইল । রামহরি কাহারও কথার প্রতি কৰ্ণপাত করিলেন না ; উপহাস করিয়া ব্ৰাহ্মণদিগকে বিদায় করিলেন, এবং গরিব প্ৰজাদিগকে কটুক্তি করিয়া তাড়াইয়া দিলেন। ཅ༣ যথাসময়ে আদালতে মকদম উপস্থিত হইল। তর্কভূষণ মহাশয় যখন এজলাসে প্ৰবেশ করিলেন, তখন তাহার প্রশান্ত, গম্ভীর ও পবিত্র মুখশ্ৰীর প্রতি দৃষ্টিপাত করিয়া কাহার ও অনুভব করিতে বাকি থাকিল না। যে, তিনি সে অভিযোগের পাত্ৰ নহেন। তঁহার নাম সকলেই শুনিয়াছিল, সুতরাং আদালতের মকদ্দমা-ব্যবসায়ী লোকদিগেরও কোপাগ্নি