পাতা:যুগান্তর - শিবনাথ শাস্ত্রী.pdf/৩০৯

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

তঁহার স্বভাব-চরিত্র নশিপুরের পরিবারস্থ ব্যক্তিগণেরই অনুরূপ ; এ সময়ের কোনও দোেষই তাঁহাতে নাই। তাহার পিতৃ-মাতৃভক্তি বিশেষ ংসনীয়। তিনি প্ৰাতে উঠিয়া সৰ্ব্বাগ্রে পিতামাতার চয়ণে প্ৰণাম না করিয়া কোনও কাৰ্য্যে হস্তার্পণ করেন না। গিরিশচন্দ্র, সুপণ্ডিত ও বুদ্ধিমান, পাশ্চাত্য জ্ঞানবিজ্ঞানের অধিকাংশ গ্ৰন্থই তিনি পড়িয়াছেন ; কিন্তু তাহাতে র্তাহাকে পাশ্চাত্য-ভাবাপন্ন না করিয়া বরং আরও অধিক পরিমাণে প্ৰাচ্য-ভাবাপন্ন করিয়াছে। তিনি প্রখর বুদ্ধি ও পাশ্চাত্য জ্ঞানের সাহায্যে সনাতন হিন্দুধৰ্ম্ম ও রীতি-নীতির বিজ্ঞানসন্মত ব্যাখ্যা করিয়া আপনার মনকে গড়িয়া লইয়াছেন, এবং যেখানে যান, তাহা প্রচার করিতে ভাল বাসেন । এমন কি তিনি বিজয়া ও হরচন্দ্ৰকে বলিয়াছেন যে, সামাজিক ও পারিবারিক ধৰ্ম্ম এবং রীতিনীতি সম্বন্ধে তাহার দুইখানি গ্ৰন্থ লিখিবার ইচ্ছা আছে । তিনি নবরত্ন সভার ঘোর বিরোধী ; কিন্তু তাহা বলিয়া কাহার ও প্রতি বিদ্বেষপরায়ণ নহেন। . i তর্কভূষণ মহাশয়ের কাশীযাত্রার দুই এক মাস পরেই এক দিন বিদ্যারত্ন মহাশয় সন্ধ্যার পর রাজবাড়ী হইতে ঘরে আসিতেছেন, এমন সময় শুনিতে পাইলেন যে বিজয়ার ঘরে বিজয়া, হরচন্দ্র ও গিরিশ তিন জনে খুব তর্ক চলিয়াছে। শুনিবা মাত্র তিনি অন্ধকারে এক পাশ্বে দাড়াইয়া শুনিতে লাগিলেন। তঁহারা জানিতেন সে দিন বিদ্যারন্থ মহাশয়ের অনেক রাত্রে বাড়ী আসিবার কথা, সুতরাং তিন জনে নিঃশঙ্কচিত্তে মন খুলিয়া তর্ক করিতেছেন। বিচারের বিষয় কালী-পূজা । হরচন্দ্ৰ বলিয়াছেন, কালী অনাৰ্য্য আদিম বর্বর অধিবাসীদিগের অর্থাৎ রাক্ষসদের দেবতা ছিল ; নতুবা নরবলি নরমুণ্ড নর-কপাল প্রভৃতিতে 45°怀喇C可?