পাতা:যুগান্তর - শিবনাথ শাস্ত্রী.pdf/৩১৩

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

Oso যুগান্তর* بند বিদ্যারত্ব। ( অতিশয় বিকৃতম্বরে )। ই ভাল হবার চেষ্টা করে। ছাই ভাল হবার চেষ্টা । এর চেয়ে তুমি আগে যা ছিলে তা ছিল ভাল। হরচন্দ্র। ( অতিশয় দুঃখিতভাবে ) বড়দা, এ কথাটা আপনি মনে থেকে বলছেন না। " বিদ্যারত্ন। মনে থেকে বলছি বৈ কি ? হরচন্দ্ৰ । তবে আর আমি কথা কব না । আপনি ক্রোধবশতঃ কি বলছেন ভেবে দেখছেন না । ( বলিয়া নীরব ) বিদ্যারন্থ। ঐ ছোট পিসীই তোমার মাথা খেলে। পিছনে কতকগুলো ছোড়া জুটেছে, আমি তাদের একেবারে দেখতে পারিনে। (না হরচন্দ্ৰ না বিজয়া কেহ আর কোনও কথাই বলিলেন না । ) তৎপর দিনের পর দিন চলিয়া যাইতে লাগিল। বিদ্যারত্ন মহাশয় আর বিজয়া কি হরচন্দ্ৰ কাহারও সহিত বাক্যালাপও করেন না। হরচন্দ্র পর মাসের প্রথমে টাকাগুলি আনিয়া গিরিশের হাতে দিয়া বিদ্যারত্ন মহাশয়ের নিকট পঠাইয়া দিলেন। তিনি টাকাগুলি ছুড়িয়া ফেলিয়া দিয়া বলিলেন- “চাই না। ওর টাকা, ওর যা ইচ্ছে করুক গিয়ে ।” হরচন্দ্ৰ বিপদে পড়িলেন । নিজে একবার গিয়া বণি লেন-“বড়দা, টাকা গুলি নিন, তা না হলে আমি মনে বড় ক্লেশ পাব।” বিদ্যারত্ন। পেলেই বা ক্লেশ ? আমি তোমার টাকা নিতে পারবো। না, তুমি শঙ্করের কাছে পাঠাও। 's হরচন্দ্ৰ । তবে কি আপনার ইচ্ছে, আমি এখানে না থাকি ? বিষ্ঠারত্ব । আমার ত ইচ্ছে সকলে একত্রে থাকি । তোমাদের সে রকম গা নয়, তা আর কি হবে ? তাহলে আর এমন করি ? ? হরচন্দ্র। ( গম্ভীরভাবে ) তবে কি আপনার ইচ্ছে। আমি চলে যাই ? বিদ্যারত্ন। তোমার ইচ্ছে, যেতে হয় যাও, সোজা পথ আছে।