পাতা:যুগান্তর - শিবনাথ শাস্ত্রী.pdf/৩২৪

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

একবিংশ পরিচ্ছেদ ৩২১ নবীনচন্দ্ৰ আবার ভাবিতে লাগিলেন। আৰাৱ দুই এক দিন পরে। দ্বিতীয় প্ৰস্তাব উপস্থিত করিলেন । “উক্ত দুই লক্ষ দশ হাজার টাকার মধ্যে দশ হাজার টাকা বাড়ী মেরামত ও আপনাদের শ্ৰাদ্ধাদির জন্য থাকুক ; দাদার ছেলেদের নামে ২৫ হাজার টাকা দিয়ে যান, তাহ। আমার হাতেই থাকুক ; আমাকে যদি কিছু দিতে চান, পাঁচশ হাজার দিলেই হইবে। ঐ পাঁচিশ হাজার টাকা। আপাততঃ রাঙ্গা মারি নামেই থাকুক ; আমার পনির হাজার ও এই ২৫ হাজারে তাহার চলিয়া যাইবে ; অবশিষ্ট দেড় লক্ষ টাকা পাঁচ জন ট্রষ্টর হাতে দেশহিতকর কাৰ্য্যের জন্য থাকুক।” অবশেষে এ প্রস্তাব যখন আসিল, তখন বৃদ্ধ অতিশয় অবসন্ন। ক্লাস্তিাবশতঃষ্ট হাউক, আর নবীনের জেদ ছাড়াইতে না পারিয়াই হউক, তিনি নবীনকে বলিলেন,-“আমি তোমাকে দিলাম, তুমি যাহা ইচ্ছা হয় কর, আ'ম আর ভাবিতে পারি না।” নবীনচন্দ্র তাড়াতাড়ি দুই এক দিনের মধ্যে একজন আইনজ্ঞ লোকের দ্বারা একটা উইল লিখাইয়া আনিলেন, ও উপযুক্ত সাক্ষীর সমক্ষে স্বাক্ষর করাইয়া লইলেন। বাড়ী মেরামত প্রভৃতির জন্য দশ হাজার রহিল ; তাহার জ্যেষ্ঠ সহোদরের সন্তানগণের জন্য ২৫ হাজার তঁাচার হস্তে রহিল ; তঁহার ২৫ হাজার রাঙ্গা মাৱ নামে রহিল ; অবশিষ্ট দেড় লক্ষ পাঁচজন ট্রােষ্টর হাতে রহিল। তিনি এবং সুরেশচন্দ্র উভয়ে ট্রষ্টিদের মধ্যে রহিলেন। বসতি বাড়ীটী গৃহিণীর থাকিল। তিনি দান বিক্রয় করিতে পরিবেন। উইল হইয়। গেলে যথাসময়ে বৃদ্ধ বসুঙ্গ মহাশয়ের জন্য প্রায়শ্চিত্ত হইল। তিনি জ্যৈষ্ঠের শেষ ভাগে পরলোক যাত্ৰা করিলেন। নবীনচন্দ্ৰ গোবিন্দকে বাহির বাড়াতে র্তাহার রাঙ্গা মায়ের রক্ষক স্বরূপ ፵፱፻፵፬] CፃiCማማ ! এবারে কলিকাতাতে আসিয়া নবীনচন্দ্ৰ জ্যেষ্ঠতাতের পীড়া লইয়া ব্যস্ত ছিলেন ; সুতরাং নবরত্ন সভার কাৰ্য্যে অধিক সহায়তা করিতে, SS