পাতা:যুগান্তর - শিবনাথ শাস্ত্রী.pdf/৩৩৪

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

छादिक्षा श्रेब्रिtछा తితి ঈশ্বরের কৃপায় এখনও প্ৰাণে প্ৰাণে বাচিয়া আছি। আমাকে প্ৰত্যািক্টশা করিয়া ইহার এইদিকে আনিয়াছে। মামা বলিলেন“বৰ্দ্ধমানে বন্ধুর-বাড়ী নিমন্ত্রণ আছে সপরিবারে যাইব ।” তিনি বৰ্দ্ধমানে নামিয়া গেলেন ; আমরা বরাবর চলিয়া আসিলাম। তারপর কতক পথ হাটিয়া কতক গাড়িতে এইরূপ করিয়া গয়া হইয়া প্ৰয়াগে পৌছিলাম। পরে বুঝিলাম তোমার পথ হইতে আমাকে সরাষ্টয়া দেওয়া মামার উদ্দেশ্য। প্ৰয়াগে আসিয়া বলপূৰ্ব্বক আমার মাথা মুড়াইবার চেষ্টা করে ; আমি কিছুতেই দি নাই । তিন চারিজনে আমাকে জোর করিয়া ধরিয়া নাপিত দিয়া মুড়াইতে গিয়াছিল ; পারে নাই। চুলের প্রতি যে | আমার বড় এ কটা মায়া আছে তাহা নয়,কিন্তু যেই মাথার কাছে ক্ষুর লইয়া। যায়, অমনি মনের ভিতর হইতে কেমন একটা বাধা আসে। যাহা হউক সঙ্গের লোক তাহার পর রাগ করিয়া আর আমাদিগকে বৃন্দাবনে লইয়া গেল না। লোক সঙ্গে দিয়া মাকে ও আমাকে কাশীতে পাঠাইয়াছে। এখানে আমি একপ্রকার কয়েদে আছি ; চিঠি লিপি বার একখানি কাগজ । পাই না ; পড়বার একখানি বই পাই না ; তাহার উপরে দিবানিশি কতকগুলি বৃদ্ধ স্ত্রীলোকের তিরস্কার সহ্য করিতেছি । শুনিতেছি । আমাদিগকে শীঘ্ৰ আবার কোথায় ? ইয়া যাইবে । আমি মাকে তিরস্কার । করিয়া বলিয়াছি,-তোমার যদি মত বদলাইয়াছিল, কেন কলিকাতায় বলিলে না ? এত কষ্ট দিবার প্রয়োজন কি ছিল ? আমার ত প্ৰতিজ্ঞ । আছে তোমাদের সকলের সন্মতি না হইলে এ কাজ করিব না। আর তোমার বিষয়ে বলিয়াছি,-“তোমার মত বদলাইয়াছে জানিলে তিনিও এমন কাজে প্ৰবৃত্ত হইতেন না, এতদিন অপেক্ষা করিয়াছেন আরও F হয় কিছুদিন করিতেন।” ঠিক বলি নাই ? তা তঁহাকে বলাই বৃথা । তাহার নিজের একটা মত নাই ; মামা এক প্রকার বুঝাইয়া দিয়াছেন, ।