পাতা:যুগান্তর - শিবনাথ শাস্ত্রী.pdf/৩৩৯

GNOG যুগান্তর নবীনচন্দ্ৰ গ্ৰীষ্মের অবকাশকাল কলিকাতাতেই বন্ধুদিগের সহিত যাপন করিলেন। এই সময়ের মধ্যে একটা ভয়ঙ্কর লোমহর্ষণ কাণ্ড ঘটিয়া গেল, যাহার অনুরূপ ঘটনা কেহ কখনও শুনে নাই । তাহা বর্ণন করিবার পূৰ্ব্বে পূৰ্ব্ববৃত্তান্ত কিছু বলা আবশ্যক। ইহা অনেকে অনেক বার দেখিয়া থাকিবেন যে, সন্ধ্যাকালে প্ৰদীপ জ্বলিলে সময়ে সমক্সে এক একটা পতঙ্গ আসিয়া সেই অগ্নিতে পড়িতে চায়। বসিয়া আছি, কয়জনে কথাবাৰ্ত্ত কহিতেছি ; হঠাৎ দেখা গেল, একটা পতঙ্গ প্ৰদীপের চারিদিকে ঘুরিতেছে ; একজন বলিলেন, -“পোকাটা তাড়িয়ে দেও ত, আগুনে পড়ে মরূবে।” উঠিয়া পতঙ্গটিকে তাড়াইয়া দেওয়া গেল । কিয়ৎক্ষণ পরে দেখা গেল, আবার আসিয়াছে। আবার পূৰ্ব্বোক্ত ব্যক্তি পলিলেন,-“মর আবার এল, ধরে পোকাটাকে জানাল দিয়ে ফেলে দেও তাঁ।” সেবার উঠিয়া তাহাকে ধরিয়া জানাল দিয়া বাহিরে ফেলিয়া দেওয়া গেল। আপদ শান্তি, একটা জীবের জীবন রক্ষা হইল। সকলে নিশ্চিন্ত আছি, হঠাৎ একজন বলিয়া উঠিলেন,-”যা, আবার এসে আগুনে পড়লো, মরে তার পর ছাড়লো !” হায় ! হায় ! এ জগতে কোন ও কোন ও মানুষের যেন এই দশা হয় দেখি । তাহারা পাপানলে না পুড়িয়া না মরিয়া ছাড়ে না। আত্মায় স্বজন বার বার সতর্ক করে, নিষেধ করে, শাসন করে, কিছুতেই কিছু হয় না ; কিছুতেই তাহারা দুপ্রবৃত্তিকে সংযত করিতে পারে না ; পাপানলেই আত্ম-সমৰ্পণ করে এবং ধনে প্ৰাণে সারা হয়। হতভাগিনী মাতঙ্গিনীর সেই দশা ঘটিল। সকলে অবগত আছেন যে, কৃষ্ণকামিনীর রোগশয্যা DDDSu gDD DDBB BBB KB D DBEE gg BBD করিয়া গিয়াছিলেন যে, তৎপর দিবসই উমাশঙ্করকে বাড়ী হইতে ত্যভূইয়া দিবেন। বাড়ীতে গিয়ান্ট সে পরামর্শ পরবর্তিত হইয়া যায়।