পাতা:যুগান্তর - শিবনাথ শাস্ত্রী.pdf/৩৪০

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

दि३e *ब्रिgtछ \ტტზ উমাশঙ্করকে হঠাৎ কিছু বলা অপেক্ষা মাতঙ্গিনীকে সাবধান করিয়া দেওয়া অধিক যুক্তিসঙ্গত বলিয়া মনে করেন। তদনুসারে মাতঙ্গিনীকে নির্জনে ডাকিয়া, বিশেষভাবে সতর্ক করিয়া দেন। ইহার দুই দিন পরেই উমাশঙ্কর আপনি হইতে চলিয়া গেল ; এবং এক মাস পরেই কলিকাতার হোগলকুঁড়েতে একটা বাড়ী ক্রয় কারণ। সেখানে মধ্যে মধ্যে সপরিবারে বাস করিত, কখনও কখনও একাকী আসিয়া থাকিত । উমাশঙ্কর চলিয়া যাওয়ার পর গোপনে মাতঙ্গিনীর সহিত চিঠিপত্ৰ চলিতে লাগিল। কিছুদিন কেহ কিছু লক্ষ্য করিতে পারিল না। একদিন মাতঙ্গিনীর অনুপস্থিতিকালে মিত্ৰজ মহাশয় কোনও কাৰ্য্যে তাহার ঘরে প্রবেশ করিয়া হঠাৎ উমাশঙ্করের হস্তলিখিত একখানি চিঠির খাম কুড়াইয়া পাইলেন। উপরে বাড়ীর অপর একজন লোকের নাম। মাতঙ্গিনীর ঘরে ঐ খাম পাইয়া তাহার মনে সন্দেহ হইল ; অন্বেষণ করিতে করিতে তাহার বালিশের নিয়ে উমাশঙ্করের লিখিত এক পত্ৰ পাইলেন। তাহ পাঠ কবিয়া তিনি কোপে জ্বলিতে লাগিলেন। সেই দিন রাত্রে মাতঙ্গিনীকে নির্জন ঘরে ডাকিয়া যথেষ্ট ভৎসনা করিলেন ; এবং তৎপর দিনই মাতঙ্গিনীর দেবরকে ডাকাইয়া তাহার শ্বশুরালয়ে পাঠাইয়া দিলেন। তাহার দেবরের বাসা বাহির সিমলা। মাতঙ্গিনী সেখানে এক প্রকার কয়েদে বাস করিতে লাগিল। ডাকে পত্ৰাদি যে লিখিত, তাহারও সুবিধা আর থাকিল না। এইরূপে কয়েক মাস চলিয়া গেণ। দুষ্ট লোকের কত বুদ্ধিই যোগায়! উমাশঙ্কর পরামর্শ করিয়া মাতঙ্গিনীর সহিত চিঠিপত্র চালাচালি করিবার এক অদ্ভুত উপায় আবিষ্কার করিল। তখন কলিকাতাতে বেদের মেয়েরা অনেক সময় পাড়ায় পাড়ায় মিশি বিক্রয় করিত। এই সকল স্ত্রীলোক সচরাচর পুরুষেরা আপীসে গেলে বাহির হইতে, এবং “বাত ভাল করিগো-ও-ও ;” “দাতের পোকা বার S.