পাতা:যুগান্তর - শিবনাথ শাস্ত্রী.pdf/৩৪৮

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ত্ৰয়োবিংশ পরিচ্ছেদ wo ধৰ্ম্মালোচনা সভার দুই একজন সভ্য ভিন্ন সকলেই পূর্ববৎ রহিলেন। র্তাহাদের সহিত নবীনচন্দ্রের গুঢ় আধ্যাত্মিক আত্মীয়তা স্থাপিত হইয়াছিল, সুতরাং তঁাহারা তাহাকে পরিত্যাগ করিলেন না । বৃদ্ধ বাগচী মহাশয়ের ভাব দেখিয়া নবীনচন্দ্রের মন মুগ্ধ হইয়া গেল । তিনি বিরোধী দলের নিৰ্য্যাতন চেষ্টা দেখিয়া নিতান্ত বিরক্ত হইয়া গেলেন ; এবং নবীনচন্দ্রের প্রতি পূৰ্ব্বাপেক্ষা অধিক ভালবাসা দেখাইতে লাগিলেন। ফরিদপুরে পৌছিলার কয়েকদিন পরেই একদিন প্ৰাতে । নবীনচন্দ্ৰ বাগচী মহাশয়কে ডাকিয়া বাড়ীর মধ্যে লইয়া গেলেন এবং কৃষ্ণকামিনীকে ডাকিয়া বলিলেন,-“কৃষ্ণকামিনী ! এই বাগচী মহাশয়, " এর কথা ত তোমাকে বলেছি, উনি আমাদের পিতৃস্থানীয়, তোমাকে । দেখতে এসেছেন ।” কৃষ্ণকামিনী আসিয়া গলধন্ত্রে ভূমিষ্ঠ হইয়া বৃদ্ধ । ব্ৰাহ্মণের চরণে প্ৰণত হইলেন ও পদধূলি লইলেন। বাগচী মহাশয় । দুই চারিটি মিষ্ট কথা বলিয়া তাহাকে আপ্যায়িত করিলেন। এইরূপে ক্ৰমে ক্ৰমে যে কয়েকজন নবীনচন্দ্রের শ্রদ্ধাভাজন ও আত্মীয় ছিলেন, তঁহাদের সহিত কৃষ্ণকামিনীর পরিচয় হইয়া গেল। ষে কেহ একবার তাহার সহিত আলাপ করেন, তিনিই তাহার বিনয়, সৌজন্য ও সাধুত দেখিয়া মুগ্ধ হইয়া যান, এবং বাহিরে গিয়া লোকের নিকটে মুক্তকণ্ঠে প্ৰশংসা করেন। এই রূপে হেড মাষ্টারের নবপরিণীতা পত্নীর প্রশংসা সেই शूल्य नश्cद्ध दार्थ श्ध्रl পড়িল আর এক শ্রেণীর লোকে এই প্ৰশংসাতে যোগ দিল। নবীনচন্দ্রের বাসার সন্নিকটস্থ পল্লীর দরিদ্র লোক সকল কৃষ্ণকামিনীর সদয় ব্যবহারে অতিশয় প্রীত হইয়া চারিদিকে তঁাতার গুণের কথা বলিয়া বেড়াইতে লাগিল । কেবল ইহাও নহে, নবীনচন্দ্ৰ ফরিদপুরে পৌছিয়াই তৎপরদিন ম্যাজিষ্ট্রট সাহেব ও তাহার মেমের সহিত সাক্ষাৎ করিয়াছিলেন।