পাতা:যুগান্তর - শিবনাথ শাস্ত্রী.pdf/৩৫৯

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

VO V যুগান্তর 鼻 ব, পুত্ৰকন্যার শিক্ষাদির উপায় বিধান করিতে হবে, তোমার চাকুরী ছাড়িলে চলিবে কেন ?” কিন্তু কালিদাস বলিয়াছেন—“ক ঈপ্সিতাৰ্থস্থিরনিশ্চয়ং মনঃ পয়শ্চ নিম্নাভিমুখং প্রতীপয়েৎ,”-“স্থির-প্রতিজ্ঞ চিত্তকে ও নিম্ন স্বামী জলকে কে ফিরাইতে পারে ?”, নবীনচন্দ্ৰ কাহারও বাধা শুনিলেন না । ] কলিকাতায় আসিবার সময় ফরিদপুরের সকল লোকে, এমন কি তঁহার ঘোর বিরোধী যাহারা ছিল, তাহারাও হায় হায় করিতে লাগিল । যাত্রার দিন কৃষ্ণ কামিনী যখন গলবস্ত্ৰ বৃদ্ধ বাগচী মহাশয়ের চরণে প্ৰণাম করিলেন, তখন সেই বৃদ্ধের গণ্ডস্থল দিয়া শোকা শ্রী প্রবাহিত হইতে লাগিল। কৃষ্ণকামিনীর সেই ভক্তি, বিনয় ও সাধুতাপূর্ণ মুখে ভক্তিঅশ্রু আর তিনি দেখিতে পাইবেন না এবং সেই অপূৰ্ব্ব ভক্তিবসম্পূর্ণ সঙ্গীত আর শুনিতে পাইবেন না। নবীনচন্দ্ৰ কলিকাতা আসিলেন, ফরিদপুর যেন নিবিয়া রহিল। এদিকে কলিকাতাতে নবরত্ন সভার সভ্যগণ আনন্দে भूठI করিতে লাগিল। নবীন যে যাইবার সময় বলিয়াছিলেন-“ঈশ্বব। যদি দিন দেন আমাকে আবার কার্য্যক্ষেত্রে দেখিতে পাইবে,”-ঈশ্বর সেই দিন দিয়াছেন। নবীনচন্দ্ৰ আসিয়াই বিজয়ার পরামর্শে আর এক মঠ ও অনুষ্ঠানের সুত্রপাত করিলেন । তঁহার রাঙ্গামার পরিত্যক্ত বাড়ীটার অন্দর মহলটীতে একটি দ্বার খুলিয়া ও কিছু বদলাইয়া সে মহলটি নিজের বাসের জন্য রাগিলেন, এবং বাঠির বাড়ীটী উত্তমরূপে মেরামত করিয়া ও ঘরগুলি বদলাইয়া “কৃপাময়ী বিধবাশ্রম” নাম দিয়া তাতার জ্যেষ্ঠতাতের ট্রষ্টদিগের হন্তে অর্পণ করিলেন। সেই আশ্রমের ভার বিজয়ার হস্তে অৰ্পিত হইল। বিজয়া সেখানে হিন্দু বিধবাদিগকে লেখা পড়া শিখাইবার ও নানা প্রকার শিল্পকাৰ্য্য শিখাইবার বন্দোবস্ত করিতে লাগিলেন। !