পাতা:যুগান্তর - শিবনাথ শাস্ত্রী.pdf/৩৬০

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ty ত্রয়োবিংশ পরিচ্ছেদ 9: ቀ প্ৰথমে অধিক বিধবা পাওয়া গেল না ; নবরত্ন সভার সভ্যদিগের চেষ্টাতে @13否可 নিরাশ্রয় বিধবা পাওয়া গেল, তাহাদের প্রত্যেককে ‘হলধর বৃত্তি” নামে মাসে ৮৯১ টাকা করিয়া বৃত্তি দেওয়া হইতে লাগিল; এবং তাহাদিগকে স্কুলে আনিবার ও স্কুল হইতে দিয়া আসিবার জন্তু একখানি গাড়ি নিযুক্ত হইল। এতৎসঙ্গে নবীনচন্দ্ৰ তাহার জ্যেষ্ঠতাতের পরিত্যক্ত টাকার সঞ্চিত সুদ হইতে ৮ হাজার টাকা দিয়া বিধবাশ্রমের অব্যবহিত পার্শ্বস্থ একটা বাড়ী ক্রয় করিলেন ; এবং আরও দুই হাজার টাকা দিয়া সেট সংস্কার করিয়া ও দুই বাড়ীর মধ্যে গতায়াতের জন্য দরজা ,િ তাহা বিজয়ার থাকিবার জন্য ট্রষ্টাদিগের হস্তে অৰ্পণ করিলেন। বিজয়ার পবামর্শে এই সঙ্গে একটা বালিকা বিদ্যালয়ও স্থাপিত হইল। তাহাতে বিধবাদিগকে শিক্ষয়িত্রীর কার্য্য শিক্ষা দেওয়া হইতে লাগিল। বিজয়া, কৃষ্ণ কামিনী ও বিন্ধ্যবাসিনী তিন জনে এই বালিকা বিদ্যালয়ে পড়াইতে লাগিলেন । মহোৎসাহে কাৰ্য্য আরম্ভ হইল । হরচন্দ্ৰ বিজয়ার পবিত্র সহবাসে থাকিবার জন্য বিধবাশ্রমের পাশ্বস্থ বাড়ীতে উঠিয়া আসিলেন। সেখানে নবরত্ন সভার অধিবেশন হইতে লাগিল। পঞ্চ ও গোবিন্দ সেই বাড়ীতে রহিলেন । এদিকে নবীনচন্দ্রের নিজ বাড়ীতে র্তাহার বিধ বা ভগিনী নন্দ রাণী আসিয়া যুটলেন। ইহাতে কৃষ্ণকামিনীর মহা আনন্দ । অল্পদিনের মধ্যে উভয়ের মধ্যে এমন প্রীতি জন্মিয় গেল, যে ননদ ও ভজে এমন প্ৰেম কেহ কখনও দেখে নাই। দুই জনে হৃষ্টচিত্তে সংসারের সকল কাজ করিতে লাগিলেন ও বালিকা স্কুলে পড়াইতে লাগিলেন। নবরত্ন সভাতে যে নবজীবনের সঞ্চার হইল, তাহা বলা অত্যুক্তিমাত্র। পষ্ণু পঞ্চাশ টাকার কৰ্ম্ম ছাড়িয়া সামান্য বিশ টাকা অবলম্বনে নবরত্ন সভার সহকারী সম্পাদক পদে নিযুক্ত হইলেন। তিনি অবিবাহিত পুরুষ,