পাতা:যুগান্তর - শিবনাথ শাস্ত্রী.pdf/৬৪

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

পঞ্চম পরিচ্ছেদ (a একবার “কালী তাঁরাও” বলিয়া আবার চক্ষু মুদিত করিতেছে । এমন সময়েও কেবল এক শ্রেণীর জীবের বিশ্রাম নাই ; তাহারা পাড়ার বালক বালিকা। তাহদের চক্ষে ঘুম নাই । যাহারা স্কুলে পড়ে, তাহদেরও প্ৰাতে স্কুল হওয়াতে তাহারা দুপুর বেলা বাড়ীতে থাকে, ও দৌরাত্ম্য করিয়া বেড়ায় । এই শিশু দলের মধ্যে যাহারা দুষ্ট ও পিতামাতার অবাধ্য, তাহারা জনক জননীকে নিদ্রিত দেখিয়া সরিয়া পড়িয়াছে ; এবং আমি কাননে কাননে ঘুরিয়া ঢ়িল মারিয়া আম পাড়িতেছে ; ও গাছে উঠিয়া পক্ষীশাবক চুরি করিয়া বেড়াইতেছে। আর যাহারা পিতামাতার বাধ্য, তাহারা দলবদ্ধ হইয়া কোনও ছায়ানুক্ত স্থানে বসিয়া খেলা করিতেছে । অন্য তৰ্কভূষণ মহাশয়ের ভবসের শিশুদিগের এই অবস্থা । বিন্ধ্যবাসিনী, সুখদা ও অপরাপর কয়েকটা বালক বালিকা পাশের দাবাতে বসিয়া পুতুল খেলিতেছে ; কেবলমাত্র ৩{হাদের কথোপকথনের অপরিস্ফুটি শব্দ সেই মধ্যন্দিনের প্রগাঢ় নিস্তব্ধতাকে ভঙ্গ করিতেছে । ভবেশ কেবল শালিক পাখী পুধিয়া ক্ষণােস্ত হয় নাই। স্কুলের কোনও বালকের বাড়ী হইতে কতকগুলি পায়রা আনয়ছে। তৰ্কভূষণ মহাশয় যখন প্রথম সেগুলিকে দেখেন, তখন বা ৬। অপরিস্কার কব্লিবে বলিয়া বিরক্ত হইয়াছিলেন ; কিন্তু ক্রমে যখন দেখিলেন তাহারা রহিয়৷ গেল, তখন তাঁহাদের জন্য খিড়িকীর পথের ধারে পাtশর দাধার নিকটে খোপ বাধিয়া দিতে বলিয়াছিলেন, এবং আঙ্গারার্থে প্ৰত্যঙ্ক আধাসের মটর কড়াইএর বন্দোবস্ত করিয়া দিয়াছেন । নিরাপদ স্থানে খোপ পাইয়া ও আহারের উত্তম বন্দোবস্ত পাইয়া ক্রমশঃই তাহদের বংশ বৃদ্ধি হইতেছে। তাহদের মধ্যে যে দুই চারিটা দেখিতে সৰ্ব্বাপেক্ষা সুন্দর, বাড়ার বালকবালিকারা তাহাদের পায়ে ঘুঙার পরাইয়া দিয়াছে ।