পাতা:যুগান্তর - শিবনাথ শাস্ত্রী.pdf/৬৫

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

У о যুগান্তর পায়রাগুলি এমনি গাঘেষা যে, শিশুদের পাত হইতে ভাত কাড়িয়া খায়, পায়ে পায়ে বেড়ায় ; ও হাত হইতে মটর খুটিয়া লয়। তাহার দুই তিনটী পায়রা আজ ছেলেদের খেলার স্থানে ঘূরিয়া বেড়াইতেছে। পুতুলটিকে কাপড় পরাইয়া শোয়াইবামাত্র একটী পায়রা আসিয়া তাহাকে ঠোকরাইতেছে। একটী বালিকা বলিয়া উঠিল, “মর পায়রাটা আবার মরুতে এল ; আমার পুতুলটাকে ঠোকরাচ্চে কেন ভাই ?” একটী বালক বলিল, “ঠাকুরে দেখছে খাবার জিনিষ কিনা।” এই বলিয়া বাম হস্তে পায়রাটাকে সরাইয়া দিল । এইরূপ কথোপকথন চলিতেছে । ক্ৰমে কন্যাকে কাপড় পরাইয়া প্ৰস্তুত করা হইল । এইবার শ্বশুর বাড়ী পাঠান হইবে। কন্যার মাতা বলিল,-“ওগো বেহারিারা পালকা আন, পালকৗ আন ।” চারিটী বালকে পালকী ধরিয়া আনিল। তন্মধ্যে পুতুলকে শোয়ান হইল ; বেতারারা তুলিল ; কন্যার মাতার ত কঁাদা চাই, সুখদা কাদিয়া উঠিল ;—“ওগো মা, তোমায় ছেড়ে কেমন করে থাকবো গো ।” গিরিশচন্দ্র তাহার শয়ন-গৃহে শয়ন করিয়া কি একখানা ইংরাজী পুস্তক পাঠ করিতেছিলেন ; হঠাৎ ক্ৰন্দনের ধ্বনি তঁহার কর্ণগোচর হওয়াতে, তিনি চমকিয়া উঠিলেন ; ক্ষণকালের জন্য গ্ৰন্থখানি হইতে তাহার চিত্ত সেইদিকে আকৃষ্ট হইল ; তিনি উঠিয়া দেখিবার জন্য বহির্গত হইলেন। গিয়া দেখেন, চারিটা বালকে বেহারিা হইয়া এক নি পুতুলের পালাকা ধরিয়াছে, পালাকার মধ্যে একটি পুতুল, সে সুখদার কন্যা, বিন্ধ্যবাসিনীর পুলের সঙ্গে তাহার বিবাহ হইয়াছে, কন্যা পালকী করিয়া শ্বশুর বাড়ী যাইতেছে, তাই সুখদা ক্ৰন্দনের অভিনয় করিতেছে। গিরিশচন্দ্ৰ বলিলেন -“বাঁচলাম বাবা ! তোদের কান্না শুনে মনে করেছিলুম বুঝি একটা কি কাণ্ডই হলো।” এই বলিয়া শিশুদের মধ্যে একটু খেলা