পাতা:যুগান্তর - শিবনাথ শাস্ত্রী.pdf/৭

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

R যুগান্তর হইতে নিমন্ত্রিত পণ্ডিতমণ্ডলী সমবেত হইয়াছিলেন। সেই সভাস্থলে মিথিলা দেশ হইতে সমাগত এক মহামহােপাধ্যায় পণ্ডিতের সর্বপ্রধান শিষ্যের সহিত রঘুরাম শিরোমণি মহাশয়ের সর্বপ্রধান শিষ্য বিশ্বনাথের। ৰিচার উপস্থিত হয়। ঐ বিচারে সমগ্ৰ পণ্ডিতমণ্ডলী দর্শক ও বিচারক ছিলেন। বিচারকালে মৈথিল ছাত্র যখন পরাস্তপ্রায় হইয়া পড়িলেন, তখন তাহার গুরু সদ্বিচারের রীতি লঙ্ঘনপূর্বক স্বীয় ছাত্রকে সাহায্য করতে প্ৰবৃত্ত হইলেন ; সুতরাং তঁহারই সহিত বিশ্বনাথের বিচার বাধিয়া গেল। বিচারে সর্ববাদিসন্মতিক্রমে বিশ্বনাথই জয়ী বলিয়া পরিগণিত হইলেন। তঁহার প্রগাঢ় বুৎপত্তি, শাস্ত্রীয় মীমাংসাতে অদ্ভুত নিপুণতা ও ক্ষুরধারািসম মেধা দর্শনে চারিদিক হইতে ধন্য ধন্য রব উখিত হইল। সেই দিন হইতে তিনি এবং তঁাহার গুরু পণ্ডিতমণ্ডলীর নিকট সুপরিচিত হইয়া গেলেন। বিশ্বনাথ রাজভবন হইতে প্রচুর পারিতোষিক লাভ করিলেন ; এবং সমবেত পণ্ডিতমণ্ডলী সেই সভামধ্যে তাহাকে তর্কভূষণ উপাধি দ্বারা সম্মানিত করিলেন। তদবধি তৰ্কভূষণ মহাশয় স্বীয় বাসগ্রামে নিজ ভবনেই চতুষ্পাঠী করিয়া অধ্যাপনাকাৰ্য্যে নিযুক্ত আছেন। র্তাহার বিদায়-আদায়ও তাঁহার যশের অনুরূপ। গৃহিণী, পাঁচটী পুত্ৰ, পাঁচটা পুত্রবধু, চারিটী কন্যা, দশ বারটী পৌত্র পৌত্রী, দুইটা বিধবা ভ্ৰাতৃজায়, তদ্ভিন্ন দুইটী আশ্রিত বিধবা, সাত আটটী ছাত্র, তিনটা ভৃত্য, দুইটী দাসী, ছয়টা সবৎসা গাভী, তিন জোড়া হালের গরু, ইহার উপরে অতিথি অভ্যাগত, এই বৃহৎ পরিয়ারের ভরণপোষণ তিনি বলীলাক্রমে চিরদিন চালাইয়া আলিতেছেন। ইহাতেই অনুমান করা যাইতে পারে, তঁহায় আয়ের অবস্থা কি প্রকার। আয় একটী কথা জা বলিলে লোকে কিছু ভ্ৰমে পড়িতে পায়েন। বিদায় আদায়ের আয়