পাতা:যুগান্তর - শিবনাথ শাস্ত্রী.pdf/৮১

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

যুগান্তর ܟܬ݂ ܼܧ থাকিলে, ইহার উপস্থিত হইয়া রন্ধন, পরিবেশন, প্ৰভৃতি সমুদায় কাৰ্য্যের ভার লইয়া যাহাতে সুশৃঙ্খলারূপে কাৰ্য সমাধা হয়, সে বিষয়ে বিধিমতে সাহায্য করে। এই গুণে ইহারা সকলের প্রিয় ; এবং এই কারণেই ইহার মধ্যে মধ্যে লোকের উপরে যে কিছু উপদ্রব করে, তাহা গ্রামস্থ লোক সহা করিয়া থাকে । ইহাদের কিছু কিছু উপদ্রবও আছে। তাহার কয়েকটি উদাহরণ দেওয়া যাইতেছে । কোনও গৃহস্থের গৃহে পরিবারস্থ লোকেরা তাহাদের একটা বালিকা বধূকে বড় ক্লেশ দিত। এই কারণে যুবকদল সে পরিবারের প্রতি বিরক্ত ছিল। একদিন ইহারা শুনিল যে সেই বধূটার পতি ( তাহাদের পরিচিত একটা যুবক ) পিতামাতার প্ররোচনায় বালিকা বধূটকে গুরুতর রূপে প্ৰহার কারিয়াছে। ইহাতে যুবকদল এতই চটিয়া গেল, যে সেইদিন রাত্রেই সেই যুবককে একাকী পথে পাইয়া সকলে পড়িয়া এরূপ প্ৰহার করিল, যে সে কয়েকদিন উথান-শক্তি-রহিত হইয়া রহিল । আর একবার আর একটা কাণ্ড বাধাইয়াছিল। এই নাশপুর গ্রামে কায়স্থজাতীয় একজন লোক আছেন। লোকে কৃপণতা বশতঃ তাহার নাম করে না, কেবল “অমুক ঘোষ” বলিয়া সঙ্কেতে নির্দেশ করিয়া থাকে ; অতএব আমরাও তাহার নাম না করিয়া অমুক ঘোষ বলিয়া নির্দেশ করিব। অমুক ঘোষ একজন ধনশালী ব্যক্তি ; অথচ নিত্যনৈমিত্তিক ক্রিয়াকলাপে আবশ্যক মত দুই পয়সা ব্যয় করিতে আতিশয় নারাজ। এই বিষয় লইয়া গ্রামবাসীদিগের মধ্যে সর্বদা আলোচনা হইয়া থাকে। প্ৰাতঃকালে তঁহার সহিত পথে সাক্ষাৎ হইলে লোকে অনেক সময় তঁহাকে শুনাইয়াই বলিয়া থাকে - “আজি গতিক ভাল নয়, দিনটা ভাল গেলে হয়।” একবার পূজার পূর্বে