পাতা:যুগান্তর - শিবনাথ শাস্ত্রী.pdf/৮২

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

सर्छ °ब्रिtbछा ዓ ዓ. একদিন রাত্রে এই যুবকদল অমুক ঘোষের গৃহে এক দুর্গা প্রতিমা ফেলিয়া । দিল। এদেশে প্ৰথা আছে, কোনও গৃহস্থের গৃহে ঠাকুর ফেলিয়া দিলে, গৃহস্থকে বাধ্য হইয়া পূজার আয়োজন করিতেই হয়। কিন্তু অমুক ঘোষ সহজে হারিবার লোক নন ; তিনি সেই রাত্রেই নিজ ভৃত্যদিগের দ্বারা ঐ প্রতিমা জলে ফেলিয়া দিলেন। পরদিন প্ৰাতে যুবকদল যখন শুনিল যে, প্ৰতিমা জলে ফেলিয়া দিয়াছে, তখন তাহারা সেই প্ৰতিমার গণেশটা তুলিয়া, তাহার স্কন্ধে কাছ পরাইয়া, অমুক ঘোষের হস্তে গণেশজননীর অপঘাত মৃত্যু, বলিয়া দ্বারে দ্বারে ভিক্ষা করিতে আরম্ভ করিল। শুনিতে পাওয়া যায়, এইরূপে প্ৰায় চারি পাঁচ শত টাকা তুলিয়া তাহারা মহাধুমধাম সহকারে গণেশ-জননীর শ্ৰাদ্ধ করিয়াছিল। আর একটা কাণ্ড ইহা অপেক্ষাও বিগঠিত হইয়াছিল। নাশপুরে জয়রাম বাচস্পতি নামে এক বৃদ্ধ ব্ৰাহ্মণ ছিলেন । প্ৰায় এক বৎসর হইল তিনি পরলোকগত হইয়াছেন । পুত্র পৌত্র, কন্যা, দৌহিত্রে তাহার ঘর পরিপূর্ণ, তথাপি ৬৫ বৎসর বয়সে যখন তাহার গৃহ শূন্য হইল, তখন বৃদ্ধ পুনরায় দারপরিগ্রহ করিবার জন্য ব্যস্ত হইয়া উঠিলেন। ইহা তাহার একটা বাতিকের মধ্যে দাড়াইল । যাহাকে নিকটে পান তাহারই সাহিত গম্ভীর ভাবে এই আলোচনাতে প্ৰবৃত্ত হন ; “তুমি বল ত বাপু ! গৃহের একজন কত্রী না থাকিলে কি গৃহের শৃঙ্খলা থাকে ?” লোকে বলে,-হ। তা বৈ কি ?” ক্রমে সমস্ত গ্রামে ইহা একটা কৌতুকের ব্যাপার হইয়া উঠিল। বাচস্পতি মহাশয় যখন পথ দিয়া যাইতেন, গ্রামের বালক বালিকাগণ করতালি দিয়া বলিত-“বিয়ে পাগলা বুড়ে বার, বিশের মাকে বিয়ে করা।” বিশের মা একজন কৈবৰ্ত্তজাতীয়া বৃন্ধু স্ত্রীলোক, তাহার একটি চক্ষু নাই ও এক পায়ে গোদ । বাচস্পতি মহাশয় এই কথা শুনিলেই ক্রুদ্ধ হইয়া শিশুদিগকে প্ৰহার করিবার জন্য ধাবিত হইতেন। তাহদের