পাতা:যুগান্তর - শিবনাথ শাস্ত্রী.pdf/৮৯

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

এই বলিয়া তাওক। শূন্যে অঙ্গুলির অগ্রভাগ দ্বারা “ক” লিখিতে আরম্ভ করিল। ইহা দৰ্শন করিয়া সহরের যুবকগণ করতালি দিয়া অট্টহাস্য कब्रिड द्वांछि । 8. গোবিন্দ আসরের দূরে দূরে ভ্রমণ করিতেছিল, এই হাস্যধ্বনিতে তাহার দৃষ্টি তাওকের দিকে আকৃষ্ট হইল। সে তৎক্ষণাৎ নিকটস্থ হইয়া বলিল-“মহাশয় আপনারা ওকে ছেড়ে দিন, একটু দরকার আছে;” এই বলিয়া তাওকের হাতে ধরিয়া আকর্ষণ করিতে লাগিল। তাওক কি যাইতে চায় ! তাহার তখন “ক” লিখিবার ঝে কি হইয়াছে ; বিদ্যাটা না দেখাইয়া সে উঠতে চায় না। গোবিন্দ তাহাকে বলপূৰ্ব্বক আকর্ষণ করিয়া বাহিরে লইয়া গেল, এবং আহারের পাত হওয়া পৰ্যন্ত সমগ্ৰ সময় বাহিরে বাহরে ঘুরিতে লাগিল। 常 ক্ৰমে আহারের সময় উপস্থিত । ছাতের উপরে আটচালা বাধিয়া আহারের স্থান হইয়াছে । অংসগণ “সোয়নের” আহবানানুসারে ছাত্যেন্ত্র উপরে উপস্থিত। তাতাদের নিয়ম ছিল, সকলগুলি একত্রে বসিবে ; বরকর্তা সেইরূপ বন্দোবস্ত করিয়া দিলেন । মহোৎসাহে আহার চলিল মে বাড়ীর পুত্রদিগের নাম, বঙ্কিমচন্দ্ৰ, জনজিৎলাল, চিরঞ্জাব ইত্যাদি গঙ্ক স্বামী বার বার পুত্রদিগকে ডাকিতেছেন,-“বঙ্কিম, জঞ্জিৎ, চিরঞ্জাব —এদিকে এস।” হাসের দলের একটা যুবক বলিয়া উঠিল;- “ওঠে ভাই ! এ যে দেখি পিকিন, পৃষ্ঠানকিন, ক্যাণ্টন।” ইহাতে ভোজনকারীদিগের মধ্যে একটা হান্তের রোল উঠিল । কন্যাকৰ্ত্তা প্ৰবীণ লোক, যুবকদিগের এ প্রকার ব্যবহারে কিঞ্চিৎ অপদস্থ হইয়া বলিলেন, ---“এ ছেলেগুলি বুঝি বরযাত্র ? বাঃ বেশ তৈয়ারি ছেলে ত | ভদ্রলোকের ছেলের এমন ইতরের মত ব্যবহার কেন ?” এই কথা বলিখুl তিনি অন্যদিকে গমন করিলেন । গোবিন্দ সঙ্গীদিগের এই ব্যবহারে