পাতা:যুগান্তর - শিবনাথ শাস্ত্রী.pdf/৯৮

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

সপ্তম পরিচ্ছেদ \) স্নেহ করেন। মাহিনীর চাকর মাহিনী দিলেই তাতার সঙ্গে সম্বন্ধ ফুরাইল, এভাবে তাহদের প্রতি দৃষ্টি করেন না। তাহারাও মানুষ, তাহাদেরও সুখ দুঃখ আছে, কেবল দারিদ্র্যাবশতঃ পরমুখাপেক্ষী, এটী। তাহার সর্বদা স্মরণ থাকে। এইজন্য তিনি তাহাদিগকে বাড়ীর পরিবারের মধ্যে গণনা করিয়া থাকেন। তাহদের ঘরগুলি সুপরিস্কৃত ও স্বাস্থ্যকর, আহারাদির ক্লেশ নাই ; একটু অসুখ হইয়াছে জানিতে পারিলেই অমনি তাহার কাজ বন্ধ করিয়া দেন ও পাথ্যাদির বন্দোবস্ত কবেন । তাহাদের পারিবারিক বিপদ আপদে কৰ্ত্ত সৰ্ব্বদাই মুক্তফ্রস্ত। যে ভুবনেশ্বরীর ৰিবাহে ভিন্ন গ্রামের দরিদ্র লোক পরিতুষ্ট হইয়া গিয়াছে, তাহাতে ভূতগণ যে প্রচুর পরিমাণে পারিতোষিক পাইয়াছে, তাহ। বলাই নিম্প্রয়োজন। তর্কভূষণ মহাশয় তাহদের স্ত্ৰীপুত্ৰদিগকে আনাইয়া সকলকে নূতন বস্ত্ৰ দিয়াছেন এবং পিতল ও কঁাসার বাসন বিতরণ করিয়াছেন । । যেমন কৰ্ত্তা তেমনি গৃহিণী ; ভবেশ যে তঁহাকে মিছরির কুঁদে বলিয়াছিল, { তাঙ্গা প্রকৃত কথা। এত প্রেম ও এত স্নেহ কি বিধাতা নারীহুদয়ে । দিয়াছেন ; দাসদাসীগুলির আহার করিবার সময় একটু অতীত হইলেই কত্রী ঠাকুরাণী টিকটিক করিতে থাকেন,-“ওরে তোরা খা, । ওরে তোরা থা।” তখন যদি কেহ তাহাদিগকে কোন কাজ করিতে । বলে, তবে তিনি রাগিয়া উঠেন ; বলেন -“তোমরা মানুষের মুখের দিকে চাও না, কেবল কাজটাই বোঝ।” সুতরাং এ বাড়ীতে ভূতাদিগের - কি সুখ, তাহা সকলে বুঝিতেই পারিতেছেন। এই যে ভূতাটি পীড়িত হইয়া পড়িয়া রহিয়াছে, অন্তঃপুর হইতে ঘন । ঘন সংবাদ লওয়া হইতেছে ; কত্রী এবং বিজয়ী অনেকবার আসিয়া । দেখিয়া যাইতেছেন । কৰ্ত্তাও প্রতিদিন দুইবার দেখিতেছেন। আজ । .rجاق