পাতা:যোগতত্ত্ব-বারিধি - সুরেন্দ্রমোহন ভট্টাচার্য্য.pdf/১৭১

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

যোগতত্ত্ব-বারিধি । ১৬৭ লবদ্বারাণি সংযম্য গার্গাস্মিন ব্রহ্মণ: পুরে । উল্লি দ্রহৃদয়াঙ্কোজে প্রাণায়ণমৈ: প্রবেশবিতে । ব্যোমি ত স্মন প্রভারূপে নিরূপে সৰ্ব্বকারণে ; মনোবৃত্তিং সুসংযম্য পরমণ স্থনি পণ্ডিতঃ । মূৰ্দ্ধাধায়ু য়ুন: প্রাণং ক্ৰবোৰ্ম্মধ্যে তদানলে ! / তৎপরে এই ব্ৰহ্মপুর শরীরাভ্যস্তরে নব দ্বার নিরুদ্ধ করিয়া প্রণয়াম দ্বারা বিকাশ প্রাপ্ত হৃদয়মধ্যে যে শূন্ত স্থান থাকে, তা হার অভ্যস্তরস্থ জ্যোতিঃস্বরূপ নিরাকার সর্বকারণের করণ পরম স্থাতে মনোবুক্তি স্বস্তুসংসত করিরা মুৰ্দ্ধাস্থানে ক্রদ্বয়ের মধ্যে যোগী প্রাণবায়ুকে ধারণ করিবেন । কারণে পরমানন্দে অস্থিতো যোগধারণম্। ওমিত্যেকাক্ষরং ব্রহ্ম ব্যাহরন সুসমাহিত: | শরীরং সস্ত্যজেদবিদ্বাননেনৈব দ্বিজোত্তম: | যস্মিন সমভ্যসেৎ বিস্বনি যোগেনৈবাত্মদর্শনম্। তদেৰ সংস্মরেদ বিদ্বান ত্যজ স্ত্যস্তে কলেবরম্ । তং তমেবে ত্যসেী ভাবমিতি ব্রহ্মবিদে বিচু: | ব্ৰহ্মজ্ঞ ব্যক্তি পরমানন্দ রূপ সৰ্ব্ব কণরণের কারণ পরব্রহ্মে নিমগ্ন হইয়া “ওঁ? এই একীক্ষর ব্রহ্মমন্ত্র জপ করিতে করিতে যোগধারণ বলে সমাধি অবস্থা প্রাপ্ত হইবেন এবং এইরূপ সমাহিত অবস্থাতেই প্রাণ পরিত্যাগ করিবেন । ব্রহ্মজ্ঞ ব্যক্তিগণ বলেন যে, যিনি যে উপায় অবলম্বন করিয়া আত্ম-দৰ্শন অভ্যাস করেন, দেহত্যাগ সময়েও তিনি সেই ভাবকে অবলম্বন করিবেন এবং যে ভাবকে আশ্রয় করিয়া অস্তকালে দেহ পরিত্যাগ হয়, জীব সেই ভাবই প্রাপ্ত হইয়া থাকে ।