পাতা:যোগতত্ত্ব-বারিধি - সুরেন্দ্রমোহন ভট্টাচার্য্য.pdf/২৪

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

২০ যোগতত্ত্ব-বারিধি । ইদং প্রক্ষালনং গোপ্যং দেবানামপি-দুল্লভম্। কেবলং ধেীতিমাত্রেণ দেবদেহে ভবেদ ধ্রুবম্ ॥ প্রাগুক্তরূপ বায়ু গ্রহণ, বিধারণ ও নিষ্কাষণ অভ্যস্ত হইলে সাধক ঐরূপ করিয়া তৎপরে নাভিমগ্ন জলে অবস্থান করতঃ শক্তি নাড়ী বাহির করিবে, এবং যে পর্য্যন্ত তাহার মল সকল নিঃশেষরূপে দেীত ন৷ হইবে, তাবৎ হস্ত দ্বারা প্রক্ষালন করিবে । উত্তমরূপে ধৌত হইলে তখন পুনরায় ঐ নাড়ী উদরমধ্যে প্রবেশ করাইয়া যথাস্থানে স্থাপন করিবে । এই প্রক্ষালন সুরগণেরও দুষ্প্রাপ্য, এবং ইহা অতীব গুপ্ত । কিন্তু অত্যন্ত দুষ্কর কার্য্যও বটে। যোগশাস্ত্রেও ইহা সাবধানের সহিত সম্পন্ন করিতে উপদেশ দেন এবং সাধারণের ইহাতে অধিকার নাই বলেন । যথাঃ– যা মার্কং ধারণশক্তিং যাবল্প সাধয়ে স্নরঃ । বহিস্কৃতং মহদ্ধেতিস্তাব>ৈব ন জায়তে ॥ “যতদিন যামার্ক কাল পর্য্যন্ত নিশ্বাস রুদ্ধ করিয়া থাকিতে শক্তি ন৷ জন্মে, তত দিন এই বহিষ্ক,ত-ধৌতিকাৰ্য্য করা সম্পাদন হইবে না।” অন্তধেীতি চারি প্রকার, এইরূপ সাধন করিতে হয়। অতঃপর ধৌতির অপরাংশ দস্তধেীতি শিখিতে হয় । শিষ্য দস্তধেীতি কি প্রকার, তাহ বলুন। গুরু। দস্তধেীতি পাচ প্রকার। যথাঃ– দস্তধেীতি – •দস্তমূল জিহামূলং রন্ধ ধ্ব কর্ণযুগ্ময়োঃ । কপালরস্কৃং পঞ্চৈতে দস্তধৌতিৰ্ব্বিবীয়তে ॥ “দন্তমূল ধোঁতি, জিহণমূল ধোঁতি, কর্ণরন্ধ স্বয়ধেীতি এবং কপালরন্ধ, ধেীতি— দস্তুধেীতি এই পঞ্চস্থান ধোঁতি দ্বারা সম্পন্ন করিতে হয় ।