পাতা:যোগতত্ত্ব-বারিধি - সুরেন্দ্রমোহন ভট্টাচার্য্য.pdf/২৪৭

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

যোগতত্ত্ব-বারিধি । ミ8 ○ হইবে । এইরূপ ব্যক্তিরই কেবল বলিবার অধিকার অগছে —“এই জগৎ কি সুন্দর ।” তাহারই কেবল বলিবার অধিকার অাছে যে,— “সবই মঙ্গলময় ।” এইরূপ প্রত্যক্ষ উপলব্ধি হইতে জগতের এই মহান হিত হইবে যে, জগতের এই সকল বিবাদ-গণ্ডগোল দূর হইয়া জগতে শান্তির রাজ্য হইবে । জগতের সকল মানুষ যদি আ’জ এই মহান সত্যের একবিন্দুও উপলব্ধি করিতে পারে, তাহা হইলে তাহার পক্ষে এই সমুদয় জগতই আর একরূপ ধারণ করিবে,—আর এই সব গণ্ডগোলের পরিবৰ্ত্তে শান্তির রাজত্ব আসিবে । অসভ্যভাবে তাড়াতাড়ি করিয়া সকলকে ছাড়াইয়া যাইবার প্রবৃত্তি জগৎ হইতে চলিয়া যাইবে । উহার সঙ্গে সঙ্গেই সকল প্রকার অশান্তি, সকল প্রকার ঘৃণা, সকল প্রকার ঈর্ষ্যা, এবং সকল প্রকার অশুভ চিরকালের জন্ত চলিয়া যায় । তখন দেবতারা এই জগতে বাস করিবেন । তখন এই "তই স্বর্গ হইয়া ষণ ভাবে । আর যখন দেবতায় দেবতশয় খেলা, যখন দেবতায় দেবতায় কাজ, যখন দেবতা দেবতাকে ভালবাসে, তখন অশুভ কি থাকিতে পারে ? ঈশ্বরের প্রত্যক্ষ উপলব্ধির এই মহা সুফল । সমাজে তোমরা যাহা কিছু দেখিতেছ, সবই তখন পরিবত্তিত হইয়া অন্তরূপ ধারণ করিবে । তখন তোমরা মণ তুষকে আর মন্দ বলিয়া দেখিবে না ; ইহাই প্রথম মহালাভ । তখন তুমি আর কোন অন্যায়কাৰ্য্যকারী দরিদ্র নরনারীর দিকে ঘৃণাপূৰ্ব্বক দৃষ্টিপাত করিবে না। তখন তোমার আর ঈর্ষ্য বা অপরকে শাস্তি দিবার ভাব উদয় হইবে না। ঐ সবই চলিয়া যাইবে , তখন প্রেম এত প্রবল হইবে যে, মানবজাতিকে সৎপথে পরিচালিত করিতে আর চাবুকের প্রয়োজম হুইবে না ।” এতক্ষণে তুমি বোধহয়, বুঝিতে পারিয়াছ, জ্ঞান কি ? জ্ঞান ব্রহ্মকে জানা । ব্রহ্মকে জানিলেই জগৎকে জানা হইল,—আপনাকে