পাতা:যোগতত্ত্ব-বারিধি - সুরেন্দ্রমোহন ভট্টাচার্য্য.pdf/২৫০

২৪৩ যোগতত্ত্ব-বারিধি । অভাণসেই প্যসমর্থেণহসি মৎকৰ্ম্মপরমেশ ভব । মদৰ্থমপি কৰ্ম্মাণি ক ৰ্ব্বন সিদ্ধিমবাস্যসি | “তুমি অামাতে স্থিরতররূপে চিত্ত আহিত ( স্থাপিত ) ও বুদ্ধি সন্নিবেশিত কর, তাহা হইলে পরকালে অণমণতেই বাস করিতে সমর্থ হইবে, তাহণতে সংশয় নাই । হে ধনঞ্জয় । যদি আমার প্রতি স্থিরচিত্ত রাখিতে না পার, তা হা হইলে আমার অন্তৰ্ম্মরণরূপ আভাণসযোগদ্বারা আগমণকে প্রাপ্ত হইতে অভিলাষ কর । যদি তম্বিষয়েও অসমর্থ হও, তাঙ্গ হইলে তুমি আমার প্রতি সম্পাদনাথ ব্রত, পূজা প্রভৃতি কাৰ্য্য সকল অতুঠান করিলেও মোক্ষলাভে সমর্থ হইবে।” অণর পরাভক্তি যাহা, তাহাতে সৰ্ব্বত্র সেই রূপের বিকাশ দেখিতে পাওয়া যায় —তাহাতেই আত্মহারা থাকিতে হয় । কুল, শীল, জাতি, মান, সকলই তিনি । ফুল ফুটিলে, পাতা কঁাপিলে, বৃক্ষ নড়িলে, র্তাহারই কথা মনে পড়ে । ভক্তিমান ভক্তিতত্ত্বে বিভেণর হইয়া ভগবানকে আপনার ভাবিয়া সৰ্ব্বত্র পরিদর্শন করেন । জলে তিনি, স্থলে তিনি, অন্তরীক্ষে তিনি,– প্রতি অণু-পরমাণুতে তিনি । সর্বত্র র্তাহণকে দেখিয়ণ র্তণ হাতেই আত্মসমৰ্পিত হইয়া মন, বুদ্ধি, অহঙ্কণর প্রভৃতি সমস্ত তত্ত্ব র্তাহার চরণে অর্পণ করিয়া ভক্ত কৃতাৰ্থ হইয়া থাকে। ভক্ত তখন আকুল কণ্ঠে তাহণকে ডাকিয় বলে,—প্রভো ! তুমি সকলের সব, সবের সকল । প্রাণাধিক ! আমি পূজা-জপ-হোম-ব্ৰত কিছুই জানি না,——জানিব কি প্রকারে ? সে সকলও যে তুমি — তোহ্মণকে জানিলে আমার আর জানিবার বাকি কি থাকিবে ? তুমি দয়া কর,--আমায় তোমার চরণরেণু করিয়া লও । ভগবান ভক্তের অধীন । তিনি ভক্তির উপহার যেমন "প্রীতিপূর্বক গ্রহণ করেন, এমন আমার কিছুই নহে। ভক্তিপূৰ্ব্বক ৬ কিলে