পাতা:যোগতত্ত্ব-বারিধি - সুরেন্দ্রমোহন ভট্টাচার্য্য.pdf/২৫৭

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

যোগতত্ত্ব-বারিধি । S410 অবিশ্বাস আছে । অবিশ্বাস বলিয়া কেশন জিনিষ নাই । বিশ্বাসের অভাবই অবিশ্বাস । কিন্তু অবিশ্বাস ও কথা নহে । কারণ যছু ঈশ্বরে অবিশ্বাস করে,–কিন্তু এ কথাটি ঠিক নহে। যদু জড়বিজ্ঞানের কথার সূক্ষ্মণলোচনা না করিয়াই তাহাতে বিশ্বাস করিয়াছে বলিয়া ঈশ্বরে বিশ্বাস করিতে পারে না । বিশ্বাস একত্বভাবে পূর্ণ,—-পূর্ণবিশ্বাস যাহা, তাহা একেরই অভিব্যক্তি । আমি যদি ৰাম্বের মুখবন্ধকর মন্ত্র বিশ্বাস করি, তবে আমি বাঘের শক্তিতে আর বিশ্বাস করি না । কারণ, তখন বাঘে খাইয়া ফেলিবে, সে বিশ্বাস আমার দূর হইয়া যায়। গোপীগণ যখন বিশ্বাস করিল, তাহাদের প্রাণতম কৃষ্ণ অনস্তশক্তিধর, তখন তাহারা গোপেদের শক্তি আর বিশ্বাস করিল না । তাহারা একমনে কৃষ্ণশক্তির আশ্রয়েই হৃদয় দ্রুলিয়া দিল । কিন্তু এই বিশ্বাস ও জ্ঞান-সাপেক্ষ । জ্ঞান, তাহণনের বড় ভাই,— জ্ঞানের অধীন একটু থাকিতে হয় বৈ কি । যেখানে জ্ঞান নাই, যে স্থানে জ্ঞানের যাতায়াত নাই, সে স্থানে বিশ্বাস গেলে, সময়ে জ্ঞান তাহাকে ভৎসনা করিয়া তুলিয়া লইয়া যাইতে পারে । তবে জ্ঞান বড় ভাই,—জ্ঞান ও বিশ্বাস একত্র-একস্থানে থাকিলে জ্ঞানের খুব ঘূৰ্ত্তি পায়, বিশ্বাস দাদার ভয়ে সরমে জড়সড় হইয়া যায়—সৰ্ব্বদাই সরিয়া যাইবার চেষ্টা করে । জ্ঞানের সঙ্গে পূৰ্ব্বে সখ্য করিয়া, বিশ্বাসকে 'ভাকিয়া জ্ঞানকে বিদায় দিলে মন্দ হয় না। বিশ্বাসের সঙ্গে ভক্তি আসিবে,—দুই ভ্রাতা-ভগিনীতে কত ক্রীড়া – কত আনন্দ—ক’ত লীল। করিবে । তাহদের মধুর ভাবে তোমার হৃদয়জগৎ ভরিয়া যাইবে । কিন্তু জ্ঞানের সহিত থাকলে কখনই তাহদের স্ফুর্তি পাইবে ন} ।