পাতা:যোগতত্ত্ব-বারিধি - সুরেন্দ্রমোহন ভট্টাচার্য্য.pdf/২৯৮

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

さな)● যোগতত্ত্ব-বারিধি । শিষ্য । কিসের সহিত ঐ উভয় জগতে সম্বন্ধ স্থাপিক্ত হইল্লা থাকে ? গুরু । স্থলজগতের সহিত অন্তর্জগতের সম্বন্ধ এই বীজ,—সে কথা ইতঃপূর্বে আংশিক বর্ণনা করিয়াছি । মস্ত্রের প্রধান কাৰ্য্য এই যে, উহা উচ্চারিত হইবামাত্র আকাশে প্রতিধ্বনিত হয়,—আকাশে একরূপ গোলযোগ উপস্থিত করে । অণকণশ অণবণর সেই ধ্বনি আগরও উচ্চে শদিত করে । যেরূপ ভাবে উহা আকাশে শদিত হয়-— আকাশ হইতে ঠিক সেইরূপ ভাবেই উহা চালিত হইয়া খাতক । যদি সেই মন্ত্রপবনি প্রথমে আকাশে অধিক ধ্বনিত হয়,—তবে অণকাশ ও অধিক পরিমাণে উহ! চালিত করিতে পারে । কিন্তু কিরূপ ভাবে উচ্চারিত হইলে মন্ত্র গুলি আকাশে অধিক পরিমাণে ধ্বনিত হইবে, তাহা অনুমান করা যায় না । কারণ, বিজ্ঞান ততদূর যাইতে সক্ষম নহে । আমরা কেবল অকুমান করিতে পারি যে, শব্দ ও আকাশে ধ্বনিত হওয়া কাৰ্য্য, এই উভয়ের মধ্যে একরূপ ঘনিষ্ঠ তা আছে । অণমরা আর ও বলিতে পারি যে, কোন নির্দিষ্ট প্রকার শব্দ আকাশে কি প্রকারে ধ্বনি করিতে পারে । সংস্কৃতে এই সকল শব্দকে বীজাক্ষর নামে অভিহিত করিয়াছে, এবং তাহারা ভিন্ন ভিন্ন ভাগে বিভক্ত । প্রত্যেকের কার্য্য কি, তাহণও বর্ণিত আছে । অক্ষরের যে অংশ উচ্চারিত হয় না, তাহণই বীজ । সংস্কৃত ভাষার সকল অক্ষরই বীজাক্ষর এবং সকল বস্তুরই যেমন তিনটি অংশ আছে, মস্ত্রেরও তদ্রুপ তিনটি অংশ আছে। মন্ত্র গুলি বীজাক্ষর হইলেও শিব, শক্তি ও বিষ্ণু এই তিন অংশ বিদ্যমান । এস্থলে ইহা বলা কৰ্ত্তব্য যে, কতকগুলি গুণসমষ্টি ও কোন নির্দিষ্ট দেবতা একই পদার্থ, অর্থাৎ দেবতা শব্দে গুণসমষ্টি ব্য তীত আর কিছুই বুঝিতে পারা যায় না । সুতরাং কোন একটি নির্দিষ্ট মন্ত্র পাঠ করিলেই সহজে অসুমিত হইবে যে, উহাদ্বারা কোন Φ Αμά