পাতা:যোগতত্ত্ব-বারিধি - সুরেন্দ্রমোহন ভট্টাচার্য্য.pdf/৩০১

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

যোগতত্ত্ব-বারিধি । S >" আগমশাস্ত্রে সাঙ্কেতিক ভাষায় লিখিত হইয়াছে, সুতরাং সেই মন্ত্রগুলি বোধগম্য করিতে হইলে অগ্ৰে সেই সাঙ্কেতিক ভাষা স্পষ্ট করিবার উপায় শিক্ষা করা উচিত । এই ভ্রম সকল সংশোধন করা উচিত । মন্ত্রশস্ত্রে ভ্রমসংশোধনকে সংস্কার নামে আখ্যাত করা হইয়াছে । সংস্কার দশবিধ । উহাদিগকে মস্ত্রের দশসংস্কার বলে। যথা,—জনন, জীবন, তাড়ন, বোধন, অভিষেক, বিমলীকরণ, আপ্যায়ন, তৰ্পণ, দীপন ও গোপন । জনন অর্থে জন্মান । অর্থাৎ যে উপায়ের দ্বারা মন্ত্র হইতে অক্ষরগুলি পৃথক করা যায়, এবং যন্দ্বারা ইচ্ছাশক্তির প্রবলতা জন্মে t ইহণদ্বারা মস্ত্রের কার্য্যকারিতা বৃদ্ধি হয় । জীবন অর্থে রক্ষণ করা । যে কার্য্য করিলে মন্ত্রের জীবনীশক্তি বৃদ্ধি হয় । তাড়ন শব্দের অর্থ আঘাত করা । মন্ত্র লিথিয়৷ তদুপরি মেসমেরণ ইজ করিবার স্তণয় পাস প্রদান করিয়া শক্তিকে জণ গ্রত করা । বোধন অর্থে জণগান । মন্ত্রতে দেবতার জাগ্রত শক্তি আনয়ন । অভিষেক—অভিষেক দ্বারা দেবতা উপাসকের ইচ্ছামত কার্য্য করেন । বীজমন্ত্র-পূত জলদ্বারা মেসমেরাইজের প্রক্রিয়ামতে কাৰ্য্য করিলে মস্ত্রে দেবতার শক্তি আবিভূত হয় । উপরি-উক্ত প্রক্রিয়া দ্বারা দেবশক্তি জণ গ্রত ও সমাগত হয় । অণর অপর গুলিদ্বারা মন্ত্রের ভ্রমসংস্কার হইয়া থাকে। যথা, –বিমলীকরণ— বিমলীকরণ শব্দের অর্থ দোষশূন্ত করা বা বিশুদ্ধ করা । বারম্বার একই মন্ত্র জপদ্বারা এই কাৰ্য্য সম্পন্ন হইয়া থাকে । কিন্তু যে-সে মন্ত্র জপ করিলে উদ্দেশ্য সিদ্ধ হইবে না । ষে মন্ত্রের আদি ও অন্তে “হংস” বা “সোহহং” মন্ত্র আছে, তাহাই উচ্চারণ বা অ্যাবৃত্তি করিতে করিতে N9bూ