পাতা:যোগতত্ত্ব-বারিধি - সুরেন্দ্রমোহন ভট্টাচার্য্য.pdf/৩১০

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

\S) e \> যোগতত্ত্ব-বারিধি | ജ്ജ=ജ്ജ്ജ পাঞ্চরাত্র মাগম শব্দে বোঝা যায় যে, ইহা দ্বারা পাচ প্রকার রাত্র বা জ্ঞানলাভ হইয়া থাকে। যথা—(১) প্রকৃত সাধারণ জ্ঞান ( ২ ) নিৰ্ব্বাণ লাভের জ্ঞান ( ৩ ) বৈকুণ্ঠে নগরায়ণ সেবার উপযোগী জ্ঞান ( ৪ ) অষ্ট সিদ্ধি লাভের জ্ঞান ( e ) এবং পার্থিব সুখ—ধন ও পুত্র লাভের জ্ঞান | রাত্র শব্দের অর্থ আরও অনেকে অনেক প্রকার ব্যাখ্যা করিয়া গিয়াছেন । এই সকল আগম অর্থাৎ পাঞ্চরাত্রাগম, শৈবাগম ও শাক্তাগম আবার ভিন্ন ভাগে বিভক্ত । ( ১ ) মন্ত্রসিদ্ধাস্ত ; যদ্বারা দেবতার মূৰ্ত্তি ও মন্দিরমধ্যে তাহদের পুজা-পদ্ধতি জানিতে পারা যায় । ( ২ ) আগমসিদ্ধাস্ত, যদ্বারা চতুমূৰ্ত্তি বা চারি প্রকার গঠনের বিষয় জানা যায় । (৩) তন্ত্রসিদ্ধান্ত । ( ৪ ) বিষ্ণু ও শিবের অর্থাৎ ত্রি বা চতুমুখ দেবতার পূজাপদ্ধতির বিষয় জানা যায় । এই সকল পার্থক্য কেন হয় ? যিনি যেমন মূৰ্ত্তির উপাসনা করিয়া ফললাভ করিয়াছেন, তিনিই সেই মূৰ্ত্তির উপাসক হইয় তাহার বিষয়ই বর্ণনা করিয়া গিয়াছেন । পদ্মসংহিতা আর মন্ত্রসিদ্ধাস্ত একই কথা । ইহাতে ১ কোটি ৫০ লক্ষ শ্লোক আছে । কথিত আছে, স্বয়ং নারায়ণ ঐ সকল শ্লোক প্রস্তুত করিয়া ব্ৰহ্মাকে শিক্ষণ দেন । তিনি বলিয়াছেন, যদিও বেদে তাহার পূজার বিষয় বিশেষ করিয়া বর্ণিত আছে, তত্ৰাপি । মন্ত্রশিক্ষা দ্বারা তাহাকে যেমন সহজে লাভ করিতে পারা যায়, এমন আর কিছুতেই নহে । ব্রহ্মা উহাকে পাচলক্ষ শ্লোকে ছোট করিয়া অভ্যাস করেন এবং কপিল ঋষিকে শিক্ষণ দেন । তিনি আবার ঐ সমুদায় শ্লোককে একলক্ষ শ্লোকে পরিণত করেন অর্থাৎ পূৰ্ব্বোক্ত এককোট পঞ্চাশলক্ষ শ্লোক কম করিয়া ব্ৰহ্মা পাচলক্ষে পরিণত করিলে কপিল উহাকে একলক্ষ শ্লোকে আনয়ন করেন এবং পাটাল লোকের