পাতা:যোগতত্ত্ব-বারিধি - সুরেন্দ্রমোহন ভট্টাচার্য্য.pdf/৩৭২

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

যোগতত্ত্ব-বারিধি । سgty& ( ۹ অনাগত দুঃখ ত্যাগ কর । সমুদয় শক্তি সেই অনাগত দুঃখ নাশের জন্ত নিয়োগ কর । বিপরীত বৃত্তি-প্রবাহের দ্বারা সংস্কারগুলিকে জয় কর / কিন্তু এই সুখ-দুঃখের কারণ কি ? আত্মা যদি নিত্য শুদ্ধ, নিত্যবুদ্ধ ও সুখময়, তবে সুখ-দুঃখ হয় কেন ? দ্রষ্ট দৃশুয়োঃ সংযোগে হেয়হেতুঃ ॥ হেয়হেতু অর্থাৎ যে দুঃখকে ত্যাগ করিতে হইবে, সেই দুঃখের হেতু দ্রষ্টা ও দৃষ্ঠের সংযোগ । দ্রষ্টা অর্থে মাস্থা বা পুরুষ । দৃশু অর্থে মন হইতে আরম্ভ করিয়া স্থূল ভূত পর্য্যন্ত সমুদয়—প্রকৃতি । এই পুরুষ ও প্রকৃতির মিলন হইতেই সুখ বা দুঃখের উৎপত্তি হয় । অতএব প্রকৃতির বাহুবন্ধন হইতে আ স্থাকে মুক্ত কর । দার্শনিক ভাবে বুঝিতে হইলে এইরূপ ৰলিতে হয় যে, মন বা অন্তঃকরণ ও প্রকৃতি, অতএব দ্রষ্ট অর্ণ স্থা, দৃশ্য অন্তঃকরণ । মুখ, দুঃখ, মোহ প্রভৃতি সমস্তই বুদ্ধি-তত্ত্বের বিকার । বুদ্ধিতত্ত্ব বা অন্তঃকরণ ইন্দ্ৰিয়সম্বন্ধ দ্বারা বিষয়াকারে ও সুখ-দুঃখাদি আকারে পরিণত হইবামাত্র চৈতন্যদ্বারা প্রোজ্জলিত হয় । এতাদৃশ মিথ্যা সম্বন্ধ সংঘটন হওয়াতেই আত্মার ঔপচারিক ভোগ ঘটিতেছে । প্রকাশক্রিয়াস্থিতিশীলং ভূতেন্দ্রিয়াত্মকং ভোগাপবগার্থং দৃশ্বম্ ॥ দৃশু বলিতে ভূত এবং ইন্দ্রিয়গণকে বুঝায়। উহা প্রকাশ, ক্রিয়া এবং স্থিতিশীল । ইহা আত্মার ভোগ ও অপবর্গের কারণ । একটা কথা উঠিতে পারে, দৃশ্ব বা প্রকৃতি যদি আত্মা বা পুরুষকে এত মলিন করিয়া রাখে, তবে প্রকৃতির সান্নিধ্যে তিনি থাকেন কেন ? অথবা যদি প্রকৃতি র্তাহাকে মলিন করিতে সক্ষম হয়, তবে তাহার

সৰ্ব্বোপরি ক্ষমতাই ব থাকিল কোথায় ? பகய