পাতা:যোগতত্ত্ব-বারিধি - সুরেন্দ্রমোহন ভট্টাচার্য্য.pdf/৩৮০

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ህöግom যোগতত্ত্ব-বারিধি । কাহাকে “বিদ্বান হও” বলিলে সে বিস্বান হইবে । “ধনী হও” বলিলে ধনী হইবে । এইরূপ সৰ্ব্বত্র । ইহাকে ই কৰ্ম্ম না করিয়া তাহার ফললাভ করা বলে । অস্তেয় প্রতিষ্ঠায়াং সৰ্ব্বরত্নোপস্থানম্ ॥ অচৌর্য্য প্রতিষ্ঠা হইলে তাহার নিকটে ধনরত্নাদির সমাগম হইবে । কেমন করিয়া হইবে ? তুমি প্রকৃতির নিকট হইতে যতই সরিয়া যাইতে ইচ্ছা করিবে, প্রকৃতি ততই দুই বাহু প্রসারণ করিয়া তোমাকে বাধিবার চেষ্টা করিবে । তাহার ধনরত্ব গুলিতে তুমি বিতৃষ্ণ হইলে, সে তাহা অযাচিত ভাবে তোমার দুয়ারে উপস্থাপিত করিবে । তুমি যদি প্রকৃতির প্রতি কিছুমাত্র লক্ষ্য না কর, তবে সে তোমার দণসী হইবে । ব্ৰহ্মচর্য্য প্রতিষ্ঠায়ণং বীর্য্যলাভ: a ব্রহ্মচর্য্য প্রতিষ্ঠা হইলে বীৰ্য্যলাভ হয় । ব্রহ্মচৰ্য্যবান ব্যক্তির মস্তিষ্কে প্রবল শক্তি—মহতী ইচ্ছাশক্তি সঞ্চিত থাকে । উহা ব্যতীত মানসিক তেজ আর কিছুতেই হইতে পারে না । যত মহা মহা মস্তিষ্কশালী পুরুষ দেখা যায়, তাহারা সকলেই ব্রহ্মচৰ্য্যবান ছিলেন । ইহাদ্বারা মাহুষের উপর আশ্চৰ্য্য ক্ষমতা লাভ করা যায় । মানবসমাজের নেতাগণ সকলেই ব্রহ্মচৰ্য্যবান ছিলেন, উiহাদের সমুদয় শক্তি এই ব্রহ্মচৰ্য্য হইতেই লাভ হইয়াছিল । অতএব যোগীর ব্রহ্মচৰ্য্যবান হওয়া বিশেষ প্রয়োজন । অপরিগ্রহপ্রতিষ্ঠায়ণং জন্মকথস্তাসংবোধ । , অপরিগ্রহ প্রতিষ্ঠা হইলে জন্মান্তরীয় কথা স্মরণ হয় । ১ যোগী যখন অপরের নিকট হইতে দান গ্রহণ করেন, তখন দাতার সমস্ত পাপ র্তাহার-মনের উপর আসিয়া পড়ে । অার দান গ্ৰহণ ন