পাতা:যোগতত্ত্ব-বারিধি - সুরেন্দ্রমোহন ভট্টাচার্য্য.pdf/৩৮৮

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

যোগতত্ত্ব-বারিধি । 8 לסא ইন্দ্রিয়গণ যাহাতে বাহিরের বস্তুতে আকৃষ্ট হইয়া টানিয়া আনিয়া মমের উপর ঢালিয়া না দেয়, এমন বিষয়কেই প্রত্যাহার বলা যায় । তুমি বলিতে পার, ইহা অসম্ভব । চক্ষুরিন্দ্রিয় দেখিবেই এবং তাহা মনের উপর ঢালিয়া দিবেই। এইরূপ সকল ইন্দ্রিয় ! না, তাহা হইতে পারে না । বাল্যকাল হইতেই তোমার ঐ চক্ষুরিন্দ্রিয় অাছে,– তখন খেলনা দেখিলে চক্ষুরিন্দিয় তৎপ্রতি ধাবিত হইয়া মনে আনিয়া ঢালিয়া দিত, মন তাহ পাইবার জন্য ব্যাকুল হইত। সেই চক্ষু এখনও অাছে, কিন্তু চক্ষু এখন খেলনা আণনিয়া চিত্তে অৰ্পন করে না, অন্ত কিছু করিতে পারে । অণবণর তোমার যাহা আনে, আমায় তাহা আনে না । তবে বুঝিয়া দেখ, ইন্দ্রিয় বলিয়া বাহিরে আমরা যেগুলিকে দেখি, সেগুলি বাস্তবিক ইন্দ্রিয়-যন্ত্র—মনই তাহদের প্রযোজক । অতএব মনের এই বিষয়ে পডিয়া পৃথক পৃথক্ অবস্থা বা আকারপ্রাপ্তি নিবারণ করার নামই প্রত্যাহার। সহজ কথায়, বিষয় হইতে ইন্দ্রিয়গণকে ঘুরাইয়া অান প্রত্যণহণব । বিষয়ের প্রতি বীতরাগ হইলেই প্রত্যাহার-সিদ্ধি হয়। যতদিন তুমি জানিতে পার নাই, খেলনা কোন কাজে লাগে না, ততদিনই তাহার উপরে তোমার মন ধাবিত হইত। জ্ঞানের সঙ্গে সঙ্গে তাহা তুচ্ছ বলিয়া বুঝিয়াছ, কাজেই তদুপরি তোমার মন যায় না । জগতের সমস্ত পদার্থ ই হেয়,—তাহীদের স্বরূপ বিচারই প্রত্যাহার-সিদ্ধির উপায় । তত: পরমবশ্বতেন্দ্রিয়ানাম । প্রত্যাহার হইতেই ইন্দ্রিয়গণ উত্তমরূপ বশীভূত হয় । ধারণ কি, তাহ শুন । 飄 দেশবন্ধশ্চিত্তস্ত ধারণ ॥ চিত্তকে কোন স্থানবিশেষে বদ্ধ করিয়া রাখার নাম ধারণা ।