পাতা:যোগতত্ত্ব-বারিধি - সুরেন্দ্রমোহন ভট্টাচার্য্য.pdf/৯১

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

যোগতত্ত্ব-বারিধি । 는 মলপরিপূর্ণ নাড়ীসমূহের মধ্যে বায়ুর সঞ্চারণ উত্তমরূপে হয় না । তাহা হইলে প্রাণায়াম সাধন কিরূপে হইবে ও তত্ত্বজ্ঞানই বা কিরূপে জমিবে ? এইজন্য প্রথমে নাড়াশুদ্ধি করিবে, পরে প্রাণায়াম অভ্যাস করিবে । শিষ্য । নাড়ী শুদ্ধি করিতে হইলে, আগে নাড়ীবিষয়ক জ্ঞানলাভ আবশ্যক,—অতএব প্রথমে তাহাই বুঝাইয়া দিন । গুরু । সে সম্বন্ধে তুমি কি কি বিষয় জানিতে অভিলাষ কর, তাহা বল ? শিষ্য ১ শরীরের কোন স্থান হইতে নাড়ীসমূহ সঞ্জাত হইয়াছে, এবং কোন স্থানেই বা সংস্থিত আছে ; কন্দ কাহাকে বলে এবং বায়ুসমূহের সংখ্যা কত, উহারা কোন কোন স্থানে অবস্থিত ও কি কি ক্রিয়া করিতেছ ; এই সমস্ত বিষয় ও দেহ এবং দেহস্থিত ঐসকল বিষয়সম্বন্ধে জ্ঞাতব্য অণর যে যে কথা আছে, তাহা বিস্তারিতভাবে আমাকে উপদেশ দিন । গুরু । সে সমস্ত কথা শাস্ত্রমতে বলিতেছি, শ্রবণ কর । শরীরং তাবদেবং হি ষন্নবত্যমুলাত্মকম্। বিন্ধোতং সৰ্ব্বজন্তুনাং স্বাস্থলীভিরিতি প্রিয়ে । শরীরাদধিকঃ প্রাণে দ্বাদশাঙ্গুলমানতঃ । চতুর্দশাস্কুলং কেচিদ্বদন্তি মুনিপুঙ্গবাঃ ॥ স্বাদশাজুলমেবেতি বদস্তি জ্ঞানিনো নরাঃ । আত্মস্থমনিলং বিদ্বানায়স্থেনৈব বহ্নিনা ॥ যোগাভ্যাসেন য: কুৰ্য্যাৎ সমং বা নূ্যনমেব বা । স নর: ব্রহ্মবিচ্ছুেষ্ঠ: স পূজ্যশ্চ নরোত্তমঃ ॥ যোগশাস্ত্রাস্তুসারে সমস্ত জন্তুরই দেহের পরিমাণ তাহীদের নিজ