পাতা:যোগবাশিষ্ঠ রামায়ণ.djvu/১৭১

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

$心8 যোগবশিষ্ঠ । যেনেষ্টং রাজস্থয়েম মণ্ডলেশ্বরশ যঃ শাস্তি যশ্চাঙ্গরাজ্ঞঃ সসংমুটি অন্যমন ইতিসম্যকন্তু প্রকাশতয়া রাজতইতি সংস্র টপরমাত্মেত্যধান্তরেমনোযত্তেভ্যর্থঃ তস্তচাপরিজ্ঞাতান মুনিঃ তৎপর্যালোচনপরঃ স্বাভিমতানাশসনাচ্চোপেক্ষস্বাসেী ॥ ৩৩ । অস্যার্থঃ হে অবনীপতে স্ত্রীরামচন্দ্রের অনুজীবি পার্শ্বস্থিত জনগণের যদি তাহাকে বলেন, ষে হে নৃপকুমার ; তুমি বিষন্নত পরিত্যাগ পুৰ্ব্বক সৰ্ব্ব সম্রাট হউন, অর্থাৎ সমস্ত ধরামণ্ডলেশ্বর হইয়। সামুজ্যি মুখ ভোগ করুনৃ। তাহাদিগকে উন্মত্ত জ্ঞানে পরিহাস করিয়া, তাহাতে মনোভিনিবেশ করেন না, বরং অন্য মনস্ক মৌনাবলম্বন করিয়া থাকেন। ৩৩ ৷৷ তাৎপৰ্য্য —গ্রীরামচন্দ্র সমস্ত বিষয়েই অন্যমনস্থ হইয় থাকেন। পরমাত্মতত্ত্ব ঘটিত কোন কথা কহিলেও স্বাভিমত সঙ্গত ন হইলে তাহাতেও পরিহাস করেন, এবং অপরিগ্ৰহত পূর্বক সেই বাক্যকে উপেক্ষা করিয়া থাকেন । (际寸, স্মৃটিষ্টাদপ্রাপ্তি অনায়াসে হয় না, অনেক কষ্ট সাধ্য রাজস্বয় ৰজ্ঞ সম্পাদন না করিলে সাম্রাজ্য লাভ করিতে পারে না। এমত সাম্রাট শী প্রাপ্তি বিষয়েও রামচন্দ্র অপরিতৃপ্ত, সৰ্ব্ব সম্রাট পরমাত্মাকে নিশ্চয় করিয়া মনে মনে সেই চিন্তাতেই নিমগ্ন থাকেন, আমরা এই এক প্রকার নিশ্চয় করিয়াছি, ষে তাহার মনের এই অভিপ্রায় যে নিত্য সত্য পরমাত্মতত্ত্বের পর্যালোচনা ব্যতীত অনিত্য বিষয়ের পর্যালোচনায় কালifতপাত করিতে বাঞ্ছা নাই ।। ৩৪ ৷৷ প্রীরামের যথার্থ মনের ভাব কি, তাহা আমরা কিছুই বুঝিতে পারি না, ইহা রামামুচর রাজাকে কহিতেছেন । যথা - -( নপ্রোক্তমিতি ) ৷ ন প্রোক্তমাকৰ্ণয়তি ঈক্ষতে ন পুরোগতং । করোত্যবজ্ঞাং সৰ্ব্বত্র স্বসমেত্যাপিবস্তুনি ।। ৩৪ ৷৷ সৰ্ব্বত্রবস্তুনিসুসমেত্যগুণতঃ ফলতশ্চশোভনং স্বামুরূপং তৎপ্রাপ্যাপি ।। ৩৪ ৷৷ অস্যার্থঃ । 藏》 হে বসুস্থাপতে । শ্রীরামের অগ্ৰে যদি কেহ কোন শ্রাব্য কথা কহে, তাম্বা শ্রবণ মাএও করেন না, এবং সম্মুখে সমুপস্থিত মনোজ্ঞ বস্তু প্রতি সম্যক অবজ্ঞা প্রদর্শন পুৰ্ব্বক দৃষ্টিপাত মাত্রও করেন না । ৩৪ !!