যোগবাশিষ্ঠ । سیاه اج ঔদার্থ, ও দয়া এবং স্নেহ থাকে। অর্থাৎ যেমন লায় তাবৎ কাল পর্য্যস্ত জীব মাত্রের সুগম্পর্শ থাকেন, সাবৎ হিমের প্রবলতর রূপে সমাগম না হয় ৷৷ ৮ ৷৷ তাৎপর্য –মানুষদিগের স্ত্রী প্রাপ্তি ইলে সহসা মহামো উপস্থিত হয়, সেই মোঙ্গ অত্যন্ত উদ্ধত রূপে পরীকৃত করিয়া তুলে, তখন তাঁহার দয়া দক্ষিণ্য স্নেহাদি আর কিছু মাত্র প্রকাশ পায় না, কেবল জনের পীড়াদায়ক হইয় নিরন্তর তাহার কার্কশ স্বভাল প্রকটকৃত হয়। ইহার দৃষ্টান্ত স্থল সমীরণ, অর্থাৎ বায়ু জীব সম্বন্ধে তাবৎ দুপম্পর্শ থাকে, যদবধি হিমসিহ না হয় অর্থাৎ চিমাগমে যাব, অসহ্য ন হইয় উঠে। ' ঐশ্বৰ্য্যও সেইরূপ মানব নিকরকে দয়া দাক্ষিণ্যেযুক্ত করিয়া রাখে যে পর্য্যস্ত জন সকলকে উদ্ধত না করে । ৮ । গ্রীরামচন্দ্র এতদ্বিষয়ে মণিপংগু দৃষ্ট্রান্তে আরও স্পষ্টীকৃত করিয়া কহিতেছেন। উদর্থে উক্ত হইয়াছে। যথা –(প্রাজ্ঞাস্ততি ) ৷ প্রাজ্ঞাং শূরা; কৃতজ্ঞাশ্চ পেশল মৃদবশযে । পাংশুমৃষ্টৈবমণয়ঃ শ্রিযাতে মলিনীরুতাঃ ।। ৯ । ভদেবপষ্টয়তি প্রাজ্ঞাইতি স্পষ্টং ।। ৯ li ' অস্যার্থঃ । হে মুনে ! সুবুদ্ধি পণ্ডিত, শ্বর, কৃতজ্ঞ, কৰ্ম্মনিপুণ, নমুশীল, ব্যক্তিরা শ্রিয়োন্মত্ত হইলে তাদৃশ আত্ম মলিনতা ধারণ করেন, বাঁশি পাংগুগুষ্ঠিত মণি প্রভ রঙ্গিত হইয়া থাকে। ৯ । f তাৎপৰ্য্য —মনুষ্য যেমনবিচক্ষণ ইউব না কেন, ঐশ্বয শ্ৰী প্রাপ্ত হইলেই ভম্মহিমাতে সংপ্রভার হানি হয়, অর্থাৎ নিষ্ঠুরতাদি কদৰ্ঘ্য স্বভাবে অম্বিত হয়, তখন তাহার কখন সরলা বুদ্ধি থাকে না, শুরতার হানি হয়, কৃতজ্ঞত নাশ পায়, অর্থাৎ উপকারির উপকারাথে যত্ন পর হয় না, কৰ্ম্মাদিতে নিপুণতা থাকে না, অর্থাৎ অবশ্য কৰ্ত্তব্য কম্মের অকরণীয়তা হয়, যেহেতু অনারাধিত অলিসা আসিয়া উপস্থিত হয়, নমতাব পরিশেষ হয় অর্থাৎ অক্সি ঐশ্বৰ্য্য দৃষ্ট্রট অফস্কার জন্মে, সুতরাং সকলকে তুচ্ছ তাচ্ছিল্য করে, যদি কোন কোন ঐশ্বর্ণাশালি ব্যক্তিকে নমু বাক্য কহিতে দেখা যায় সে বাহে কিন্তু অস্তিরিকvঐশ্বৰ্য্যের উষ্ণতা জন্মিয়াই থাকে, অতএব ঐশ্বৰ্য্য, মনুষ্য চিভকে পাংশুমৃক্ষিত মণির ন্যায় মলিন করিয়া রাখে, এমন যে ঐশ্বর্য, তাহাকে গ্রহণ করিতে আমার কখনই বাসন হয় না। ৯ !
পাতা:যোগবাশিষ্ঠ রামায়ণ.djvu/২১৫
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।