পাতা:যোগবাশিষ্ঠ রামায়ণ.djvu/২৯৬

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ধোগবtfশষ্ঠ । ミbふ অস্যার্থঃ । হে মহর্ষে ! ইহসংসারে লোক সকল এক চিন্ত পরিত্যাগ দ্বারা নিখিল দুঃখ হইতে পরিমুক্ত হইতে পারে। অতএব বিষবৎ বিস্তুচিক রোগরূপা, মৃত্যুর কারণভূত বিষয়তৃষ্ণার নিবারক মন্ত্রস্বরূপচিন্ত ভাগকেই কহিতে হয়। ৪৩ ৷ তাৎপর্য –অনার্থ সকল সুগম, কিঞ্চিৎমাত্র গূঢ়ভাব আছে, আশাকপ বিস্তুচিকা রোগের একমাত্র ঔষধ নিশ্চয় করিয়া কহিয়াছেন, যে জীবের বিষয় চিন্তই ওরোগের কুপথ, ঐ চিন্তাত্যাগই ঔষধবং পথ্য হয়। অর্থাৎ জীবের বিষয়ে যত চিন্ত হইবে, ততই আশার বৃদ্ধি, চিন্তার নিবৃত্তি হইলেই আশার শান্তি হয়। ফলিতাৰ্থ বিস্থচিকা রোগেরও উৎপাদিক চিন্তা, যত চিন্তা করিবে ততই বায় বৈগুণ্য হইয়৷ উৰ্দ্ধগামিতা প্রযুক্ত ঐ রোগকে বলবান করিয়া তুলে, সুতরাং উভয় পক্ষেই চিন্তাতfগ কল্যাণ জনক হয় ৷৷ ৪৩ ৷৷ অনন্তর, শ্রীরামচন্দ্র হ্রদস্থিত। মৎস্যমহিলার দৃষ্টান্তে বিশ্বামিত্রকে আশার স্বভাৰ বর্ণন করিয়া কহিতেছেন, তদৰ্থে উক্ত হইয়াছে। যথা –(তৃণুপাষাণকাঠাদীতি)। তৃণপাষাণকাষ্ঠাদি সৰ্ব্বমূমিষশঙ্কয়া | - আদদানাঙ্কুরত্যন্তের্তৃষ্ণামৎসীহুদযথা । ১৪ । ভক্ষমিড্রিসম্ভাবনয়াসাযথ অন্তেবড়িশমপ্যাদায়হন্যমান স্ফুরভিতৰতুষ্ণাপীতাৰ্থঃ ৷৷ ৪৪ ৷৷ অস্তার্থঃ . “ হে মুনিবর কৌশিক ! সামান্য হ্রদ মধ্যে মৎস্যপ্রিয় যেমন মরণকাল উপস্থিত হইলে উপাদেয় ভক্ষণীয় জ্ঞানে বড়িশবিন্ধু আমিষাহার গ্রহণ করিয়া আহলাদমুক্ত হইয়া থাকে, তদ্রুপ তৃণ পাষাণ কাঠাদি লোভা দ্রব্যকে লাভ করিয়া জীবের আশাও স্ফৰ্ত্তিমতী হয়। ৪৪ ॥ " তাৎপর্য —আহারের সহিত দৃষ্টান্তের এই ফল যে লোভ সামগ্রীলাভে হর্ষের হয়, কিন্তু পরিণামে ঐ সামগ্ৰী বিনাশের উপযোগী জানিবেন । মৎস্ত যেমন লোভে আকৃষ্ট হইয়া অহবন্ধের অপেক্ষ না করিয়া বডিশবিদ্ধ আমিষ গ্রাস করে, কিন্তু পরিণামে বিনাশদশ প্রাপ্ত হয়। তদ্ধপ সংসাররূপ মহাত্রদে মীনবৎ জন" সহবন্ধ জানিবার অপেক্ষ না করিয়া কাঠ, প্রস্তর, তৃণাদি রচিত গঠনাদিকে সংসারোপৰোগি বিষয়জানে লোত্বারুষ্ট-চিত্ত হইয় সংসার শোভন বিষয়বোধে