যোগবশিষ্ঠ こa》 অনন্ত নাথ, এই মানব তমুকে নৌকীরূপে বর্ণনা করিয়া মুনিনাথ বিশ্বামিত্রকে কহিতেছেন, তদৰ্থে উক্ত হইয়াছে। যথki-(তাঁতসংতরণার্থেনেভি) । তাতগন্তরণার্থেন গৃহীতায়াং পুনঃ পুনঃ । নাবিদেহলতায়াঞ্চকস্তস্তাদাত্ম ভাবনা ৷৷ ৯ ৷৷ নম্বাত্মত্ত্বেনসৰ্ব্বজনপ্রসিদ্ধোয়ং কথমুপেক্ষস্তত্রাইতাতেতি সংতরণার্থীয় সংসারস্বধের্বাপরতীরগমনং নাবি নৌকায়াং ৷ ৯ ৷৷ অস্যার্থঃ । হে তাত ! হে পিতৃবম্মান্য মহর্ষে ! কেবল সংসাররূপ মহামুত্রের পরপরাগমনার্থ, এই দেহলতাকে নৌকাস্বরূপ পুনঃ পুনঃ গ্রহণ করা হইতেছে, ইহা কোন ব্যক্তির ভাবনা হয় ? 1 ৯ ৷৷ তাৎপর্য —সকলেই দেহধারণ করিয়া দেহদ্বার সাংসারিক নানাপ্রকার সুখভোগ করিব, এইমাত্র চিন্তা করিয়া থাকে, অর্থাৎ অপূৰ্ব্ব ইন্দ্রিয় ষ্টেৰ দেহাপন্ন নম্বজগণে আহার বিহারাদি সুখে পরিতৃপ্ত থাকিবারই নিমিত্ত মুদ্রমুখের কামনাই করে,আত্মার্থে সৰ্ব্বজন প্রসিদ্ধা এই রীতি, তাহাকে উত্মপক্ষ কেহই করে না, কিন্তু এই দেহকে সমাশ্রয় করিয়া ভবসাগর তীতীর্যপ্রায়ই’কাহারও হয় না, বিবেচনা করিলে এই নরশরীর কেবল ঐহিক খণ্ড সুখভোগীর্থ গ্রহণ করা হয় নাই, পরকালীয় অখণ্ড সুখভোগ জনাও বটে, অর্থাৎ এই দেহে যোগাদি অভ্যাস করিয়া অনেকেই মৃত্যুঞ্জয় পদবীতে আরূঢ় হইয়া জন্মসমুদ্র পারে গিয়া অপুনর্ভব নিৰ্বতি প্রাপ্ত হইয়াছেন, ইহা বিষয়াসক্ত ভ্রান্তজীবেরা ক্ষণমাত্র চিন্তা করে না, এক্তি আশ্চর্যা ইতি তীবঃ ।। ৯ । । অনন্তর স্ত্রীরামচন্দ্র এই দেহের সহিত বনের হুষ্টান্ত দিয়া মুনিবর বিশ্বামিত্রকে কহিতেছেন, তর্থে উক্ত হইয়াছে। যথা- হেনান্নতি)। দেইনাল্পিবনে শুনোবহুগর্ভসনাকুলে। তমুরুহাসংখ্যতরেী বিশ্বাসং কোধিগচ্ছতি || ১• । বিশ্বাসংনিঃশঙ্কচিত্রাবস্থানযোগ্যতাপ্রত্যয়ং। ১• । অস্যার্থ: | হে মুনিরাজ কৌশিক ! বহুতর গর্তবিশিষ্ট, অসংখ্য লেমিরূপ বিটপীবৃন্দ পরিশোভিত এই দেহস্বরূপ নির্জন বনমধ্যে একাকী নিশ্বন্ধে চিরকাল বাস করিতে কাছার বিশ্বাস হয় ? । ১• • o
পাতা:যোগবাশিষ্ঠ রামায়ণ.djvu/৩০৮
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।