পাতা:যোগবাশিষ্ঠ রামায়ণ.djvu/৩২৮

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ষোগবাশিষ্ঠ । ৩২১ তাৎপর্য –দেহাভিমানী ভ্রান্ত জীবের ভ্রান্তি নিবারণার্থে রঘুনাথ ব্যক্ত করিয়া উপদেশ দিতেছেন, যে রাজ্যত্রযুক্ত হইয়া, নানাপ্রকার স্বর্থভোগ দ্বার স্বযত্নে প্রতিপালন করতঃ এবং বেশভূষণদ্বারা তৎ সৌন্দর্য বৰ্দ্ধন, করিয়াও কেহ কখন স্বদেহকে স্থৈর্য রাখতে পারে না, অতএব এদেহের উৎকর্ষতা কি ? এৰং বিনাশশীল দেহের প্রতি আর এত যত্নই বা কেন, এক্ষণে যে কোন রূপে শরীরধারণ করতঃ অবিনাশিত প্রাপ্তিহেতু পরতত্ত্বের অন্বেষণ করাই উচিত ইতিভাবঃ। ৪৪ ৷ তাৎপৰ্য্য —এই সংসারে জন্মগ্রহণ করিয়া কেহই আপনার অবস্থাকে স্থিররাখিতে পারেন নাই, এবং পরিবেনও না, কি মোহাভোগী, আঢ্য, কি দুঃখিদরিদ্র ভাগ্যহীন, কি বিদ্বানপণ্ডিত সভা ভবা ব্যক্তি, এবিষয়ে মকলেরই সমান ভাব, অর্থাৎ প্রাপ্ত কালে বাল্য, পোগণ্ড, কৈশোর, যুবজ্ঞাঁচ, বৃদ্ধ, নিধনাবস্থাদি সকলকেই এই দেহে ভোগ করিতে হয়, যথা (পণ্ডিতেচৈধ মুখেচ বলিনাপাথদুৰ্ব্বলে। ঈশ্বরেচ দরিদ্রেচ মৃতোঃ সৰ্ব্বত্র তুল্যতামিতি) মৃত্যু প্রভৃতি এই সকল অবস্থ সূৰ্বলের প্রতিই সমানরূপ আচরণ করে, পণ্ডিত বলিয়া মান্যরূপে ত্যাগ ক েনা, মুখের প্রতি ঘৃণাও নাই, বলবানের প্রতুি ভীতও হয় না, বলহীনের প্রতিদয়াও করে নু, ধনবান বলিয়া সম্মানও রাখে না, দুঃখী দরিল প্রতি করুণাও নাই, সময়েৰু বশীভূত অবস্থা, সময় হইলেই স্বয়ং উপস্থিত হয়, অতএব এ দেহের গরিম কি ? ইতিভাবঃ ॥ ৪৫ ৷৷ অনন্তর ভবখছরহ দেহের উদ্ধারের উপায়াভাব প্রসঙ্গে রঘুবর বিশ্বামিত্রকে কহিতেছেন, তদৰ্থে উক্ত হইয়াছে। যথা –(সংসারান্তোধিজঠরে ইতি) । সংসারান্তোধিজঠবে তৃষ্ণকুহরকান্তরে। সুগুস্তিষ্ঠতি মুক্তেহো মুকোপঙ্কায় কচ্ছপং ।। ৪৬ ৷৷ তৃষ্ণৈবকুহরক মল্পছিদ্রং সুপ্তইৰ মুঢ়ঃ অতুএবমুক্তেহঃ আত্মোদ্ধারাহুকুলেচ্ছাচেষ্টা বিধুরঃ অতএব যুকঃ গুরূপসর্পণেন তৎপ্রশ্নাদি বাধিকলশ্চ। কচ্ছপোপলক্ষিত দুরিত্ৰিয়ৈ দুৰ্ব্বিষয় কর্দমরসাস্বাদিতত্ত্বাৎ কচ্ছপঃ ॥ ৪৬ ৷৷ অস্যার্থঃ । হে মুনির বিশ্বামিত্ৰ ! সংসাররূপ সমুদ্রের উদর মধ্যে, তৃষ্ণরূপ গহ্বরে অর্থাৎ ছিদ্রে স্থপ্তবং অবস্থিতি করিয়াও এই দেহ কোনমতে আপনার উদ্ধারের উপায় করে লা মহীমুখ পঙ্কভগ্ন কচ্ছপের ন্যায় চিরপ্রসুপ্তই রহিয়াছে। ৪৬ ৷ I 85 - 1