যোগবশিষ্ঠ । ৩২৫ অস্যার্থঃ । , J হে ব্ৰক্ষন যে সকল ব্যক্তি আসার ও অনিত্য ও অচিরস্থায়ি শরীরের গতি স্থিতি প্রতি সারজান করিয়া অর্থাৎ চিরস্থায়িস্তাবৎ যত্নবদ্ধ করিয়া সংসারযাত্ৰ নিৰ্ব্বাহ করিতেছে, সেই সকল মোহমদ্যপজনের প্রতি পুনঃ পুনঃ ধিক থাকুক। ৫২ ৷৷ তাৎপৰ্য্য —যেমন সুরাপানে মত্তব্যক্তিস্বরূপে অবস্থিতি করিতে পারে না, এবং অস্বরূপকে স্বরূপ বলিয়া বিশ্বাস করে, একারণ তাহাকে মাতাল বলিয়া शिक्कांद्र দেয়, সেইরূপ বিষযরূপ মদেমত্তব্যক্তিকেও এক প্রকার মাতাল ধিক্কার দিয়াছেন, ইতিভাবঃ ॥ ৫২ ৷৷ অনন্তর দেহতত্ত্বজ্ঞের প্রশংসা করিয়া রযুরাজ ঐরাম, মুনিরাজ বিশ্বামিত্রকে কহিতেছেন। যথা –(নাহং দেহস্তেতি ) ৷ নাহং দেহন্ত নোদেহে মমনায়মকুন্ততঃ। ইতি বিশ্রান্তচিত্তাযে তেমুনে পুরুষোত্তমাঃ" ৫৩ ৷৷ অযংহি ঘটাবিজুড়ে দেহোহন্তভইতি বিচাৰ্যবিভ্রান্তচিন্তা পরামিতি শেষঃ পুরুষোত্তম পুরুষশ্ৰেষ্ঠ বিষ্ণুস্বরূপ এবেড়িব ॥ ৫৩ n; অস্থার্থঃ । হে কুশিকবর ঋষে ! এ দেহ আমার নহে, আমিও দেহের নহি, অতএব জামিও মহি, দেহও নহে, এই বিচার করিয়া যে সকল ব্যক্তির চিত্ত বিশ্রামযুক্ত হইয়াছে, সেই সকল বিশ্রান্ত চিত্ত বাত্ত্বিই পুরুষোত্তম পদের বাচা হয়েন। ○\う || তাৎপর্যা —এইরূপ দেহের ও জীবের স্বরূপ তত্ত্বজ্ঞাত পুরুষেবাই পুরুষোত্তম, অর্থাং পুরুষশ্ৰেষ্ঠ বিষ্ণুস্বরূপ হন, বিষ্ণু শব্দে ব্ৰক্ষু, সুতরাং সেই আত্মতত্ত্ববিৎজনের সাক্ষাৎত্ৰহ্মভূত হন, তাহার। আর কখনই দেবধৰ্ম্মে লিপ্ত হয়েন না, ইতিত্বাবঃ। ৫৩। শরীরস্থ অষ্টপাশই বন্ধনের কারণ এবং পুনঃ পুনঃ মৃত্যুর কারণ হয়, তদষ্টান্তে এই শ্লোকে,ভগবান বিশ্বামিত্ৰকে ভগৱান রামচন্দ্ৰ কহিতেছেন। যথা (মানবিমানেতি) । মানাবমান বহুল বহুলাভমনোরমাঃ । শরীরমন্নবদ্ধাস্বংয়ন্থি দোষদৃশোনরং ।। ৫৪ ৷৷ গেনস্থশোদুর্দষ্টযোবিশেষ্যা মন্তিমৃত্যুৰশং নয়তি ॥ ৫৪ ৷
পাতা:যোগবাশিষ্ঠ রামায়ণ.djvu/৩৩২
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।