পাতা:যোগ-সাধন.djvu/১৫

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

( ७ ) সময়ে অনেক সময় তাহার জাগ্ৰত জীবন্ত আৰিঙাৰ উপলব্ধি করিয়া চরিতার্থ হইতাম, প্রাণে অভূতপূৰ্ব্ব আনন্দ, আশা ও শান্তি উপভোগ করিতাম সত্য, কিন্তু কেন জানিন, এই অবস্থা দীর্ঘ কাল স্থায়ী হইত না। অনেক সময়ই র্তাহ হইতে বিচ্ছিন্ন হইয়া কাটাইতে হইত, এবং তখন অত্যন্ত ক্লেশ হইত। . শ্রদ্ধেয় কেশবচন্দ্র সেন মহাশয়ের কন্যার বিবাহের অানোলনের কিছু পূৰ্ব্বে মামি যখন বাগ অ’াচড়া গ্রামে ছিলাম, তখন একাকী থাকাতে আত্মদৃষ্টি অপেক্ষাকৃত তীক্ষ হয় এবং তাঙ্গাতে দেখি যে জীবনের প্রকৃত ধৰ্ম্মের অবস্থা অতি হীন। --সুবিধা হইলে এবং লোকে না জানিতে পারিলে সকল প্রকার পাপই আমার দ্বারা অনুষ্ঠিত হইতে পারে। অর্থাৎ তখনও পাপশক্তির মূল জীবিত ছিল, অবকাশ পাইলে অনাস্বাসেই আমাকে ঘোর পাপানুষ্ঠামে প্রবৃত্ত করিতে পারিত। এই রূপ হীন অবস্থা দেখিয়া আমার প্রাণে দারুণ আশঙ্কার উদয় । হইল। এত কাল ধৰ্ম্মচিন্তা, আলোচনা, উপাসন, ধ্যান ধারণাদি এবং নানা দেশ বিদেশে ধৰ্ম্মপ্রচার করিয়া, হায়! আমার অবস্থা এমন হীন ও শোচনীয় ! তবে ধৰ্ম্মের ভিত্তি কোথায় ? নিশ্চিন্ত হইবার উপায় কি ? সম্পূর্ণ নিরাপদ ভূমি কি নাই ? এইরূপ প্রশ্ন স্বতঃই মনে উদিত হইল। বুঝিলাম যে ব্ৰহ্মলাভ ও দিন যামিনী তৎসহবাস ব্যতীত ইহার আর কোন উপায়ই নাই । তাহার সহিত আমার সমস্ত প্রাণের যোগ ভিন্ন এ মহাব্যাধির সুষ্ঠ ঔষধি নাই। তখন নানা স্থানে ঐ ঔষধির অন্বেষণে ফিরিতে আরম্ভ করিলাম। কর্তাভজা সম্প্রদায়ের মধ্যে কয়েক