( A ) জন শ্রদ্ধেয় ধৰ্ম্মবন্ধুর সহবাসে প্রণায়াম শিক্ষা করিলাম ও উাছাদের নিকট বিস্তর ধৰ্ম্মকথা ও অনেক উপকার পাইলাম, কিন্তু তাহাও আমার প্রাণের আকাজক্ষণ চরিতার্থ করিতে পারিলন । আমার অন্তরের বস্তু সেখানেও পাইলামনা। তখন নানা স্থানে ভ্রমণ করিলাম। অঘোর পন্থীদের কাছে গেলাম, তাহারা সাধক বটেন, কিন্তু তাহাদের নরমাংসাহার ও অন্তান্ত বীভৎস ব্যাপারে আমার রুষ্টি হইলন। কাপালিক দিগের ব্যবহার আরও ভয়াবহ দেখিলাম। রামাং, শাক্ত, বৈষ্ণব, বাউল, দরবেশ, মুসলমান ফকীর এবং বৌদ্ধ যোগী সকলের নিকটই গেলাম—কিন্তু কোথাও আমার প্রাণের পিপাসা দূর হইলন। অবশেষে ঈশ্বর কৃপায় গয়াতীর্থে আকাশগঙ্গা নামক পৰ্ব্বতে একজন নানক পন্থী মহাত্মা কৃপা করিয়া আমাকে এই যোগধৰ্ম্মে দীক্ষিত করেন। সেই অবধি আমার জীবনে এক অপূৰ্ব্ব অবস্থা খুলিয়া গিয়াছে। অবশু, আমি দেবতা হইয়া গিয়াছি বলিতে পারিন । কিন্তু এটুকু না বলিলে মিথ্যা কথা বলা হয় ও অকৃতজ্ঞতা হয় আমার যে অভাব মোচন হইয়াছে এবং আমি এক অনন্ত রাজ্যের দ্বারে আসিয়াছি, কি যে সম্মুখে দেখিতেছি তাই ভাষায় প্রকাশ করিতে পারি না । ৯ম প্রঃ । আপনার সাধন প্রণালী কি ? উঃ । ইহাতে বাহিরের কোন অবলম্বন নাই । ইহা কোন রূপ প্রক্রিয়াও নহে। কেবল অবিশ্রান্ত এক অব্যক্ত-শক্তিশালী জীবন্ত প্রার্থন। অনেকে ইহাকে অজপা সাধনবলিয়া থাকেন। কারণ ইহাতে অবিশ্রাম সাধন করিতে হয় । ১০ম প্রঃ । প্রাণায়াম সাধন কিনা ?
পাতা:যোগ-সাধন.djvu/১৬
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।
![](http://upload.wikimedia.org/wikipedia/commons/thumb/b/b6/%E0%A6%AF%E0%A7%8B%E0%A6%97-%E0%A6%B8%E0%A6%BE%E0%A6%A7%E0%A6%A8.djvu/page16-1024px-%E0%A6%AF%E0%A7%8B%E0%A6%97-%E0%A6%B8%E0%A6%BE%E0%A6%A7%E0%A6%A8.djvu.jpg)