পাতা:যোগ-সাধন.djvu/১৯

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

( ১০ ) দ্বিতীয়তঃ তাহদের আত্মার ইহাদ্বারা মহা অনিষ্ট হইতে পারে। কেননা ত্বাহার। সাধনের প্রকৃত তত্ব কিছুই বুঝিতে না পারিয়া কেবল একটি ভ্রান্ত বিশ্বাস লাভ করিবেন মাত্র । তাহার অবশুম্ভাবী ফল আমাদের প্রিয়তম সত্যের অব মাননা । ১৪শ প্রঃ । মনুষ্যের সাহায্য ভিন্ন এই সাধন সম্ভব কি না ? উঃ । অসম্ভব নহে। সব্বশক্তিমান পরমেশ্বর যখন আমাদের সাধনের লক্ষ্য এবং কেন্দ্র, সিদ্ধি এবং উপায়, তখন তিনি ইচ্ছা করিলে মানবের যোগ শক্তি স্বয়ং লিকশিত করিয়া দিতে পারেন ইহাতে আশ্চৰ্য্য কি ? কিন্তু এরূপ অনুকুল অবস্থ৷ অতি বিরল। এজন্ত স্বয়ংসিদ্ধ লোক জগতে অধিক দেখা যায় না, যোগ শক্তি প্রত্যেক মনুষ্যেরই মধ্যে বর্তমান আছে। কিন্তু ঐ শক্তি জাগ্রত না হইলে জাগ্রত প্রার্থনা জন্মিতে পারে না । এবং ঐ নিদ্রিত বা অফ ট (latent qi potential) শক্তির জাগরণ বা বিকাশ করিতে হইলে অপর কোন জাগ্রত বা বিকাশ প্রাপ্ত শক্তির অর্থাৎ ঐ রূপ শক্তিশালী মানবাত্মার সাহায্য আবশু্যক । অাদি গুরু পরমেশ্বর আমাদিগকে জল, অগ্নি, বায়ু, পৰ্ব্বত, নদী, সমুদ্র, প্রভৃতির মধ্য দিয়া নানা উপায়ে ধৰ্ম্ম শিক্ষা দিয়া থাকেন। তদ্রুপ মানুষের মধ্য দিয়া ও শিক্ষা দেন । এইরূপে বিশ্ব সংসারের যাবতীয় পদার্থ এবং মনুষ্য সকলেরই সাহায্য আবশুক ; কিন্তু জাগ্রত শক্তিশালী মহাত্মাদিগের বিশেষ সাহায্য সাধারণতঃ নিতান্ত আবণ্ঠক । ইহাকেই দীক্ষা বলে। মাধ্যাত্মিক অবস্থা নিচয় বিশেষ অনুকুল থাকিলে ভগবৎ কৃপায় বিন! দীক্ষায়ও কো