পাতা:রংপুর সাহিত্য পরিষৎ পত্রিকা (সপ্তম ভাগ).pdf/১১৬

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

>७»२, ७ जश्J } কালঞ্জেশ্বরী o (ł কৃতাৰ্থ হইতেছি । পুরাকালে এইরূপ অধিকারী সাধক এই উত্তরবঙ্গে অনেক জন্ম গ্রহণ করিয়া ইহাকে সমুজ্জল করিয়াছিলেন এরূপ দৃষ্টান্ত বিরল নহে। বৰ্ত্তমানে বীরাচারী কেীল-সম্প্রদায় আমাদের যেরূপ আগৌরবের স্থান অধিকার করিয়াছে, পুরাকালে এই বীরকৌলসাধক সেইরূপ সাধনার উচ্চ সোপানে আরোহণ করিয়া প্ৰাতঃস্মরণীয়ত্ব লাভ করিয়াছিলেন এবং আধ্যসাধনায় আৰ্য্যসিদ্ধির চরমোৎকার্যতায় আমাদিগকে গৌরবান্বিত করিয়াছিলেন। সেই গৌরবে আমরা সাধন-সিদ্ধি-শূন্য হইয়া আজও আৰ্য্যসমাজে গণ্য হইতেছি, ইহাতে অনুমাত্ৰ সন্দেহ নাই । কুল-সাধনায় অধিকারী श्शे८७ श्शेल भारुंद কিরূপ হইতে হয়, তাহঁ কুলার্ণব তন্ত্রে লিখিত ’ হইয়াছে। পাঠকগণের গোচরাথ তাহার কতিপয় প্রমাণ উদ্ধত হইল । * :- ** * * “শৈববৈষ্ণবদেীর্গার্কগণপত্যেন্দুসপ্তবৈঃ। মন্ত্রৈর্বিশুদ্ধচিত্তস্য কুল-ভজ্ঞানং প্রকাশতে ॥ শুদ্ধচিত্তস্য শাস্তস্য ধৰ্ম্মিণো গুরুসোবিন: | অতিভক্তস্য গুহাস্য কুলজঃ নং প্রকাশতে ॥ শুদ্ধিবিনয়হৰ্ষদৈঃ সদাচার দৃঢ়ব্ৰতৈ: | গুৰ্ব্বাজ্ঞাপালকৈ ধৰ্ম্মৈঃ কুলঙ্ঞানমবাপ্যতে ॥" | নিষিদ্ধ মাদ্য-মাংসাদি সেবনে কৌল হয় না। শাস্ত্রের ময্যাদা লঙ্ঘন করিয়া যাহারা কেবল মাত্র মদ্যাদি সেবা দ্বারা কৌল সাজেন, তাহারা আমাদের ন্যায় ক্ষীণবুদ্ধি মানবকে প্রতারিত করিতে পারেন বটে, কিন্তু সর্বদর্শী ভগবানের নিকট সে প্রতারণা বিনষ্ট হয়, সন্দেহ নাই। “কৌমারাদিনিবোধত্বান্নয় জন্মান্দিভাজনাৎ। অশেষ কুলসম্বন্ধৎি কৌল ইত্যভিধীয়তে ॥” ইহাই কৌল। লক্ষণ। যাহা হউক। এ সমুদায় এ প্রবন্ধের মূল বিষয় নহে বলিয়া অধিক প্রমাণ উদ্ধত হইল না। পাঠকগণের মধ্যে হয়ত অনেকের বাৰ্ত্তমান সময়ের কৌলনামধারী ভণ্ড সাধকগণের ব্যবহার দেখিয়া বা তাহদের কার্য্যাদির কথা শুনিয়া মনে কৌল-সাধক সম্বন্ধে ভ্ৰম-ধারণা থাকিতে পারে এই জন্য এই স্থানে কতিপয় শাস্ত্রীয় প্ৰমাণ डेक्ड श्ल। * মহাত্মা সাধক প্রবর ব্ৰহ্মানন্দ মন্ত্রপুরশ্চরণাদি দ্বারা উপাস্যদেব-ভাবে ভাবিত চিত্ত হইয়া সিদ্ধির অভিলাষে জগন্মাতার গীৰ্ব্বাণ-বন্দিত চরণ দর্শন লালসায় উৎকণ্ঠিত হইয়া আসার মায়া-প্ৰপঞ্চপরিব্যাপ্ত নশ্বর জগতের মিথ্যাত্বি জানিয়া সেই সত্য-সনাতনীর পাদ-পদ্ম প্ৰাপ্তির উদ্দেশে কঠোর সাধনার পথে ধাবিত হইয়াছিলেন। সংসারি-মানব যে শ্মশানকে অপবিত্র, ঘূণিত ও অগম্য মনে করে, সাধক ব্ৰহ্মানন্দ তাহাকে পরম পবিত্র, পরম রম্য ও পরম-পূজনীয় সাধক-গম্য মনে করিয়া সেই শ্মশানে শ্মশানবাসিনীর আরাধনায় নিযুক্ত হইয়াছিলেন। জননীও তাহার সেই পবিত্র আরাধনায় সন্তুষ্ট হইয়া সাধকের হৃদয়স্মশানে নিয়ত অবস্থান করিয়া সাধককে অণিমাদি সিদ্ধির অধিকারী করিয়াছিলেন। শ্মশানবাসিনীর আরাধনায়