পাতা:রংপুর সাহিত্য পরিষৎ পত্রিকা (সপ্তম ভাগ).pdf/১৪২

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

১৩১৯, ৩য় সংখ্যা । शाशङ्का शनिभाम YN9)Y দেখিয়া ওলাউঠ সদৃশ রোগের অস্তিত্ব অনুভব করিতে পারিয়াছিলেন। যে প্ৰাকৃতিক বিজ্ঞানে এই পূৰ্বানুভূতির অগ্রসর নাই, সে বিজ্ঞান বিজ্ঞাননামের অযোগ্য। উহা কোন প্রাকৃতিক নিয়মের উপর প্রতিষ্ঠিত নহে। এখন হোমিওপ্যাথি চিকিৎসা সম্পৰ্কীয় স্কুল স্কুল বিষয়গুলি সক্ষেপে বলিবার চেষ্টা করিব। চিকিৎসাসম্পৰ্কীয় rta's far at 2 &frast Organon of the art of healing এবং Chronic diseases) নামক র্তাহার অমূল্য গ্রন্থদ্বয়ে লিপিবদ্ধ করিয়া রাখিয়াছেন । প্রধানত: প্রাগুক্ত পুস্তকখানি লইয়া আলোচনা করিলেই আমাদের পক্ষে যথেষ্ট হইবে। উচ্ছা! হোমিওপ্যাথির গীতা বলিলেও অত্যুক্তি হয় না। উহা সকলের মূলে রহিয়াছে। চিকিৎসা করিতে গেলে উহারই নির্দিষ্ট পথ অনুসরণ করিয়া চলিতে হইবে। হোমিওপ্যাথিক চিকিৎসকের প্রধান সম্বল মেটিরিয়া মেডিকা সম্যক উপলব্ধি করিতে হইলেও উহারই উপদেশ অনুসারে শিক্ষা করিতে হইবে । সুতরাং প্ৰত্যেক হোমিওপ্যাথের পক্ষেই Organon একখানি অমূল্য গ্ৰন্থ উহা ব্যতিরেকে তাহার চলিবার উপায় নাই। * Orgamon পাঠ করিলে প্ৰধানত: চিকিৎসা সম্বন্ধে নিম্নলিখিত কয়েকটি বিষয় অবগত श्9शा शiघ्र :- (১) রোগীর লক্ষণনিচয়ের সমষ্টির উপর চিকিৎসা, যন্ত্র বিশেষের কতিপয় লক্ষণের উপর বা রোগের নাম অনুসারে চিকিৎসা নহে। (২) উক্ত লক্ষণসমষ্টির সদৃশ লক্ষণসমষ্টি যে ঔষধ আছে, কেবল মাত্র সেই ঔষধের দ্বারা চিকিৎসা । (৩) সদৃশ ঔষধটির উপযুক্ত মাত্রায় এবং উপযুক্ত সময়ে প্রয়োগ । (৪) স্থানীয় বাহ প্রয়োগের অনাবশ্যকতা, প্ৰত্যুত উহার বিশেষ অপকারিতা । করুণাময় ঈশ্বরের মঙ্গলবিধানে মানবদেহাভ্যন্তরে একটি সর্বব্যাপিণী শক্তি নিহিত রহিয়াছে ;-যাহার প্রভাবে দেহ ও মনের যাবতীয় কাৰ্য্য সামঞ্জস্যের সহিত সম্পাদিত হইয়া জীবনপ্রবাহ সুধাময় স্বাস্থ্যের পথে সঞ্চারিত হইতেছে। ইহাকে জীৱনী শক্তি বলে, ইহার সাম্যাবস্থার নাম স্বাস্থ্য এবং বৈষম্যের নাম রোগ। ইহাও বিধাতার একটি মঙ্গলবিধান ৰ্যে, বৈষম্য উপস্থিত হইলে জীবনী শক্তির পুনরায় সাম্যাবস্থায় আসিবার স্বাভাবিক ও স্বাধীন চেষ্টার ফলে মন ও দেহের কতকগুলি পীড়াদায়ক লক্ষণের অভিব্যক্তি হইয়া থাকে ;-যদ্বারা চিকিৎসক স্পষ্টই বুঝিতে পারেন, রোগ হইয়াছে। জীবনী শক্তির এই স্বাধীনচেষ্টা সৰ্ব্বদা ফলবতী হইতে পারে না, কারণ বৈষম্যের গুরুত্বে উহা উন্মাদিনী ও ধ্বংসকারিণী শক্তি হইয়া দাঁড়ায়। পূৰ্বোক্ত লক্ষণনিচয় জীবনী শক্তির বৈষম্যের বাহিক বিকাশ মাত্র। মূলতঃ *উহারাই রোগ নহে। এই লক্ষণ নিচয় ব্যতিরেকে আভ্যন্তরীণ রোগ জানিবার অপর কোন প্রকৃষ্ট উপায় নাই। ষত্রবিশেষের বা শরীরাংশবিশেষের স্বতন্ত্রভাবে কোন রোগ হইতে পারেন। জীবনী, শক্তির বৈষম্যই মূল, উহা হইতেই যন্ত্ৰসকল ক্ৰমে পীড়িত হইয়া থাকে।