পাতা:রংপুর সাহিত্য পরিষৎ পত্রিকা (সপ্তম ভাগ).pdf/১৫৭

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

S 8N) রঙ্গপুর-সাহিত্য-পরিষৎ পত্রিকা। কাব্যও সর্বাংশে নিখুত নহে। দেবচরিত্র অঙ্কিত করিতে যাইয়া বংশীদাস স্থানে স্থানে শ্লীলতা অতিক্ৰম করিয়াছেন। শিক্ষিত ব্ৰাহ্মণ কবির হাতে দেব চরিত্র আর একটু উজ্জল रुद्देशा ऐठे ऐत्रिऊ छिल । পদ্মাপুরাণের এই উপাখ্যানটি কি কবিকল্পিত, না ইহার কোন ভিত্তি আছে, ইহাতে কোনও প্রচ্ছন্ন রূপক আছে কি না, এবংবিধ নানা প্রশ্ন তুলিয়া কেহ কেহ উত্তর দিতে চেষ্টা করিয়াছেন। জনৈক সমালোচক বলেন,--“আমাদের বিশ্বাস চাদ, বেণের গল্পটি আগাগোড়া कझनांमूलक |· · • • • তবে যদি চাঁদ সদাগরের উপাখ্যানের এইটুকু সত্যমূলক হয় যে, যাহার। শৈবধৰ্ম্মে প্রতিষ্ঠিত থাকিয়া লৌকিক ধৰ্ম্ম প্রচারের বিরুদ্ধে দাড়াইয়াছিলেন, চাদ সদাগর তাহদের একদলের নেতা ছিলেন, তবে সে সম্বন্ধে আমাদের বেশী কিছু বলিবার নাই।”* আবার অপারে বলেন, “বংশীদাস নারায়ণ দেবের পদ্মাপুরাণের উপাখ্যানে রূপকচ্ছলে হিন্দুধৰ্ম্মের প্রতি পরাধৰ্ম্মের অত্যাচার প্রচ্ছন্নভাবে নিহিত করিয়া তাহার পদ্মাপুরাণ রচনা করিয়াছেন। তঁহার উপাখ্যানে চণ্ডী হিন্দুধৰ্ম্মের, এবং পদ্মা পরীধৰ্ম্মের স্থানীয়া হইয়াছেন। তঁহার চন্দ্ৰধর হিন্দুজাতির, সৰ্পগণ পরজাতির স্থান গ্ৰহণ করিয়াছে। আর বিপুল নারীরূপের প্রতিরূপিণী হইয়া রমণীর শিরোমণি রূপে শোভা পাইতেছেন।”ণ আমাদের ধারণা, চাঁদ সদাগরের কাহিনীতে অনেক অমূলক কথা থাকিলেও উপাখ্যানটি একেবারে ভিত্তিশূন্য নহে। বাস্তবের সহিত একেবারে সম্বন্ধ বিবৰ্জিত, এরূপ একটা কাহিনী সমাজে প্ৰচলিত হইয়া কখনও এই প্ৰকার প্রাধান্য ও বিস্তৃতিলাভ করিতে পারিত না । ইহাতে লৌকিক ধৰ্ম্ম-প্রচারের বিরুদ্ধে শৈবধৰ্ম্মাবলম্বীদিগের বিরোধ ও তাহার সমন্বয় প্ৰকটিত হইয়াছে কি না, তাহাও বলিতে পারা যায় না। সামাজিক ধৰ্ম্ম-বিপ্লব বা অনুষ্ঠানের মূলে শাস্ত্ৰজ্ঞান-সম্পন্ন ব্ৰাহ্মণের হাত রহিয়াছে। সংস্কৃত কোন পুরাণে পদ্মাপুরাণের কাহিনী নাই। অনুমান হয় যে, পদ্মাপুরাণ রচনার পূর্ব হইতেই মনসাপূজার কথার বীজ বাঙ্গালীসমাজের নিম্নস্তরে কোন ঘটনার কাহিনীরূপে প্রচলিত ছিল, কবির হাতে পড়িয়া বৰ্ত্তমান আকারে দাড়াইয়াছে। দ্বিতীয় উদ্ধত অংশে হিন্দু ধৰ্ম্মের প্রতি পরাধৰ্ম্মের অত্যাচার বিষয়ে যাহা বলা হইয়াছে, তাহা আমরা অনেক চেষ্টা করিয়াও বুঝিতে পারি নাই। পদ্মাপুরাণের কাহিনীর স্থূলভাগ সকল কবিই প্ৰায় একভাবে রচনা করিয়াছেন। নারায়ণ দেবে যাহা আছে, বিজয় গুপ্ত, ক্ষেমানন্দ, বংশীদাস, সকল কবিতেই তাহা আছে। তবে উপাখ্যান ভাগে বংশীদাসের বিশেষত্ব রহিল কোথায় ? বংশীদাস তো পদ্মাপুরাণের কাহিনী রচনা করেন নাই। অন্য কবির ন্যায় তিনিও একজন। তবে শুধু বংশী দাসের কাব্যেই রূপকভাবের অবতারণা কেন ? বংশীদাস যে তঁহার গ্রন্থে চণ্ডীকে হিন্দুধৰ্ম্মের ও মনসাকে পরাধৰ্ম্মের স্থানীয়া করিয়া

  • बचडाव। ७ नादिडा, लूडीघ्र नश्क भून, १: २१-y

শ্ৰীযুক্ত রামনাথ চক্ৰবৰ্ত্তী ও শ্ৰীযুক্ত দ্বারকানাথ চক্রবর্তী সম্পাদিত “দ্বিজ বংশীদাসের পদ্মাপুয়াৰি।” প্ৰস্তাবনা পৃঃ ॥