পাতা:রংপুর সাহিত্য পরিষৎ পত্রিকা (সপ্তম ভাগ).pdf/১৫৯

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

S8Y রঙ্গপুর-সাহিত্য-পরিষৎ পত্রিকা দেবের পদ্মাপুরাণে, বিপ্রজগন্নাথ, বৈদ্যজগন্নাথ, জগন্নাথ দাস, বিপ্ৰজানকীনাথ, দ্বিজবংশীদাস, কৃষ্ণচরণ, শিবানন্দ, চন্দ্ৰবতী এই সমস্ত বিভিন্ন নামের সহিত সম্পর্কযুক্ত ভণিতা দেখিতে

  • iाँ७ यां ।

দ্বিজ বংশীদাস বৰ্ত্তমান ময়মনসিংহ জেলার হাজরাদি পরগণার পাতৃয়াবী গ্রামে জন্ম গ্ৰহণ করেন। কোন সনে জন্ম গ্রহণ করেন তাহ। নিশ্চিত জানা যায় নাই । তবে কবি বলেন,- “জলধির বামেতে ভুবন মাঝে দ্বার। শকে রচে দ্বিজ বংশী পুরাণ পদ্মার ॥ অর্থাৎ ১৪১৭ শকে তিনি পদ্মাপুরাণ রচনা শেষ করিয়াছিলেন । বর্তমানে ১৮৩৪ শক চলিতেছে। সুতরাং দেখা যায়, ৩৩৭ বৎসর পূর্বে বংশীদাসের পদ্মাপুরাণ রচিত श्घ्रांछिल । কবির কাল সম্বন্ধে একটু তর্ক উঠিয়াছে। শ্ৰীযুক্ত রামনাথবাবু তৎসম্পাদিত বংশীদাসী পদ্মাপুরাণের প্রস্তাবনায় বলেন যে, সম্ভবতঃ পঞ্চদশ শকের কিঞ্চিৎ পূর্বে বংশীদাস জন্মগ্রহণ করেন। . ইহা হইতে দেখা যায় যে, কবির নিজের উক্তি হইতে প্ৰায় একশত বৎসর পূর্বে তিনি কবির কাল নিরূপণ করেন। শ্ৰীসক্ত কেদারনাথ মজমিদার প্রণীত “ময়মনসিংহের বিবরণী” ( ১ম সংস্করণ ৭২ পৃ: ) পাঠে আমরা অবগত হই—“বংশীদাসের বংশ বর্তমান সময়ে সপ্তম পুরুষে অবতীর্ণ হইয়াছে। সুতরাং তিনি প্ৰায় ১৭৫ বৎসর পূর্বে জন্ম গ্রহণ করিয়াছিলেন ।” কেদার বাবু এইরূপ নিশ্চিত ভাবে কথা বলায় বিষয়টি বিশেস অনুসন্ধানের যোগ্য হইয়া দাড়াইয়াছে। রামনাথ বাবু তদীয় গ্রন্থের প্রস্তাবনায় একটু সতর্কতার সহিত বিষয়টির আলোচনা করিলে ভাল হইত। কেদার বাবু এক পত্রে আমায় জানাইয়াছেন যে, “বংশীদাস নামে তালুক এখনও পাতুয়াইরের রায়দের দখলে আছে। সুতরাং বংশীদাস লর্ড কর্ণওয়ালিসের সমসাময়িক । রামনাথ বাবুর মত আনুমানিক । তিনি মনে করেন নারায়ণ ও দ্বিজবংশী এক সময়ের ; আমার মত তাহা নহে।” এই বিষয়ে আমাদের দৃঢ় বিশ্বাস, দ্বিজ বংশীদাস পঞ্চদশ শকাব্দার শেষ ভাগের লোক। প্ৰমাণ, কবির নিজের কথা, যাহা উপরে উদ্ধত হইয়াছে। তবে ইহাতে যদি পশ্চাৎ কোনও রূপ কৃত্রিমতা হইয়া থাকে। তবে উপায় নাই। যাহা হউক বিষয়টা আরও অনুসন্ধানের ও আলোচনার যোগ্য। বংশাবলী সম্বন্ধে কেদার বাবু পত্রে কিছু বলেন নাই । রামনাথ বাবু যদিও তৎসম্পাদিত গ্রন্থে বংশীদাসের বর্তমান বংশধরের আবাস বাটীর চিত্ৰ দিয়াছেন, তথাপি বংশাবলী সাহায্যে কবির কালসম্বন্ধে সামান্য আলোচনা করাও উচিত মনে করেন নাই। প্রচলিত পদ্মপুরাণের মধ্যে কোন কবির কাব্য সর্বশ্রেষ্ট, তাহারও বিচার চলিতেছে। রামনাথ বাবু দ্বিজ বংশীর শ্ৰেষ্ঠত্ব প্রতিপাদন করিতে চেষ্টা করিয়াছেন। দীনেশ বাবু ক্ষেমানন্দকেই বিজয়মাল্য দিয়াছেন । তিনি বিজয়গুপ্তকেও প্ৰশংসা করিয়াছেন, এবং নারায়ণদেবের কবিতায় স্বাভাবিকত্ব আছে, এইরূপ বলিয়াছেন। দ্বিজ বংশী সম্বন্ধে তিনি কিছু