পাতা:রংপুর সাহিত্য পরিষৎ পত্রিকা (সপ্তম ভাগ).pdf/১৭

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

> R রঙ্গপুর-সাহিত্য-পরিষৎ পত্রিকা আমাদিগের বহিরিান্দ্ৰিয়গ্রাহ এইজন্য এই পাঁচটি দ্রব্যেরই সংজ্ঞা পঞ্চভূত। এই পাঁচটি দ্রব্য দ্বারা দার্শনিকগণ কি কি বুঝাইতে চাহিয়াছেন, এক্ষণে আমরা তাহাঁই আলোচনা করিতে যাইতেছি। ক্ষিতির বিশেষ গুণ গন্ধ। এই বিশেষ গুণ ব্ৰাণেন্দ্ৰিয় দ্বারা অনুভূত হয় । জলে ও আমরা অনেক সময় গন্ধ পাইয়া থাকি বটে। কিন্তু উহা জলের পক্ষে আগন্তুক, ক্ষিতি জলের সহিত মিশ্রিত থাকে বলিয়াই ক্ষিতির গুণ গান্ধই জলের গুণ বলিয়াই প্ৰতীয়মান হয়। আপ অর্থাৎ জলের বিশেষ গুণের নাম দেওয়া হইয়াছে স্নেহ । স্নেহ কথাটা কি পরিষ্কার বুঝা যায় না । তবে এই বিশেষ গুণ রসনেন্দিয়ের গ্ৰহ বলিয়া উল্লিখিত হইয়াছে, সুতরাং এই বিশেষ গুণ রস অর্থাৎ আস্বাদ বই আর কিছু নহে। এই বিশেষ গুণের অস্তিত্ব দ্বারা জলকে তেজ, মরুৎ ও বোম হইতে পৃথক করা হইয়াছে এবং গন্ধের অনস্তিত্ব দ্বারা ইহা ক্ষিতি হইতে বিভিন্ন করা হইয়াছে। তেজের বিশেষ গুণ রূপ। রূপ চক্ষুরিান্দ্ৰিয়গ্ৰাহ। মরুৎ ও ব্যোমের রূপ নাই— এত দ্বারা তেজঃ, মরুৎ ও ব্যোম বিভিন্ন দি ব্য। আবার মরু ২ বা বায়ুর বিশেষ গুণ সম্পর্শ, তাহা ত্বগিন্দ্ৰিয়ের গোচর । তেজঃ শব্দের সাধারণ অর্থ উত্তাপ । কিন্তু উত্তাপ বিশেষরূপে ত্বসিন্দ্ৰিয়ের গোচর বিষয়ই বটে। আমরা সম্পর্শ দ্বারাই উত্তাপ অন্য ভােব করিয়া থাকি । কিন্তু স্পর্শ মরুতেরই বিশেষ গুণ । উহা তেজের বিশেষ গুণ নহে। আবার আলোকের বিশেষ গুণ রূপ। অর্থাৎ তেজঃ দ্বারা আলোকই বুঝাইতেছে বলিয়া মনে হয় । অবশ্য উত্তাপ ও আলোকে নিকট সম্পর্ক আছে । উত্তাপের মাত্রা বাড়াইলেই বস্তু আলোকময় হইয়া থাকে। এ কথা সত্য, তেজঃ শব্দ এই স্থলে সাক্ষাৎ সম্বন্ধে আলোকেরই বাচক এবং গৌণভাবে ইহা উত্তাপকেও বুঝাষ্টয়া থাকে। বাকী রহিল বোম অর্থাৎ আকাশ। ইহার BDD BDg KBDB SBDBD SDSDD S BD BBgBuKK SS SeLEB BK DBG DBD KD DDBD KBK লিখিলাম বটে, কিন্তু উহার কোনটি কোন কোন পদার্থকে বুঝাইয়াছে, তাহা জানা দরকার । DLBYSrggSLDB BDBDDDB BBD BDDBS BBBD DBDDDg KDDDBD LGLLLLLLL gBD 3, f3 Tfc1 Denotation কি ? পঞ্চভুত জ্ঞাপক শব্দপঞ্চকের সাধারণ প্ৰচলিত অর্থ যথাক্রমে মৃত্তিকা, জল, তেজঃ, বায়ু ও আকাশ ; আর প্রাগুক্তি লক্ষণগুলি আলোচনা করিলেও দেখা যায় যে, মৃত্তিক প্রভৃতি পঞ্চ দ্রব্য যথাক্রমে ক্ষিতাপ তেজো-মরুৎ-ব্যোম বলিয়া গণ্য হইতে পারে। কিন্তু তাই বলিয়া যে ‘আর কিছু ক্ষিতি, অপৰ প্ৰভৃতি সংজ্ঞায় বোধ্য হইতে পারে না, এমন বলা যাইতে পারে না । বিশেষতঃ দার্শনিকগণ কোন কোন দ্রব্য বুঝাইবার জন্য এই সমুদয় শব্দের প্রয়োগ করিয়াছেন, তাহা নিদ্ধারণ করিবার পূৰ্ব্বে একটা বিষয়ের প্রতি লক্ষ্য করিতে হইবে । আমরা দেখিয়াছি, তঁাহারা ভূত শব্দ দ্বারা যাবতীয় বহি:ৱিদিয়গ্ৰাহ্য বিশেষ গুণবিশিষ্ট দ্রব্যকেই বুঝাইয়াছেন । সুতরাং ক্ষিতাপ তেজ: প্রভৃতির প্ৰতিপাদ্য বস্তু যাবতীয় বহিরিান্দ্ৰিয়গ্ৰাহ দ্রব্যের বোধক হইবে অর্থাৎ বহিরিান্দ্ৰিয়-গ্ৰাহা যে কোন বস্তুই পঞ্চভূতের কোন না কোন এক ভূতের অন্তর্গত হইবে। তবে ক্ষিতি শব্দের কোন অর্থ অভিপ্রেতি একবার দেখা যাউক, ইহার অর্থ যদি শুধু স্মৃত্তিকা হয়, তবে কাষ্ঠ