পাতা:রংপুর সাহিত্য পরিষৎ পত্রিকা (সপ্তম ভাগ).pdf/১৭০

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

সন ১৩১৯, ৪র্থ সংখ্যা ] ইন্দ্ৰপালের তাম্রশাসন । S GN উপসংহার হাতি মার্ক যে ‘সি’ল’টি ফলকত্ৰয়ের সঙ্গে নিবদ্ধ তাহাতে লেখা আছে “স্বস্তি প্ৰাগজ্যোতিষাধিপতি মহারাজাধিরাজ শ্ৰীমদিন্দ্ৰপাল বৰ্ম্মদেব।” ইহাতে ও হর্ণালি সাহেব একটু ভুল করিয়াছিলেন, ‘শ্ৰীমদিন্দ্ৰ’’ কে ‘শ্ৰীমহেন্দ্র” পড়িয়া ফেলিয়াছিলেন ; যাহা হউক পশ্চাৎ ( বোধ হয় শাসনখানি পড়িবার পরে )। তাহা সংশোধিত করিয়াছিলেন । পরিশেষে বলবৰ্ম্মার তামশাসনের সঙ্গে ইহার কিঞ্চিৎ তুলনা করিয়া দুই চারিটি কথা বলা অসঙ্গত হইবে না, মনে করি । বলবৰ্ম্মার শাসনখানি প্রায় দেড়শত বর্ষ পূৰ্ব্বে খোদিত চাইলেও ইহার অক্ষরাদি অতি সুন্দর এবং আধুনিক পাঠকের নিকট ও সুপাঠ্য ; ইন্দ্ৰপালের শাসনের লেখা অতি কদৰ্য্য এবং ভুলভ্ৰান্তি অত্যন্ত অধিক, ইহা পূর্বেই বলা হইয়াছে। কবিত্ব হিসাবেও বলবৰ্ম্মার শাসন-রচয়িতা অধিকতর ক্ষম তাশালী ছিলেন বলিয়া মনে হয় ; তিনি রঘুবংশ হইতে অনেক স্থান যথাযথ উদ্ধত করিয়াছেন, কিন্তু তাছা কবির স্বাভাবিক শক্তি বলে সুপ্রসক্ত এবং বেশ মানানসই হইয়াছে। ইন্দ্ৰপালের তামশাসনে প্রদত্ত ভূমির চৌহদের আটাপটি দেখিয়া মনে হয় যে লোকসাধারণের নৈতিক অবনতি ও তখন অধিকতর ঘটিয়াছে, তাই এত সাবধানতার প্রয়োজন পড়িয়াছিল। চতুঃসীমাবর্ণনার মধ্যে বলবৰ্ম্মার শাসনে সামান্য দুই একটি দেশজ শব্দের ব্যবহার দেখা গিয়াছে, কিন্তু ইন্দ্ৰপালের তামশাসনে তাত এত যে, উহা পড়া বা বুঝা উভয়ই কঠিন। অতএব যে কোন ও দিক দিয়া দেখিলেই প্ৰতীত হইবে যে, দেশের ক্রমশঃ অধোগতি ঘটিতেছিল। ফলতঃ ইহার পরে বোধ তয় শতাব্দীকাল মধ্যেই সুপ্রাচীন প্ৰাগজ্যোতিষাধিপতিগণের বিশাল রাজ্য বিপ্লব-বন্যায় প্লাবিত হইয়া কোথায় যে ভাসিয়া গেল, তাহার কোন ও পরিচিহ্ন (ঈদৃশ দুই চারিখানি লিপি ভিন্ন ) পাইবার আর উপায় নাই। পরিশিষ্ট একবার একটা ভুল হইয়া গেলে যে তার ফল কতদূর পর্য্যস্ত গিয়া দাঁড়ায় তাহার একটি নিদর্শন দিতেছি। বিগত ১৩১৮ সালের ১৮ই শ্রাবণ অধিবেশনে রঙ্গপুর সাহিত্যপরিষদে শ্ৰীযুক্ত বিনোদবিহারী রায় মহাশয়ের “সুহ্মদেশ” শীর্ষক একটি প্ৰবন্ধ পঠিত হইয়াছিল। তাহাতে SumitaBot (আলাপ) তিনি লিখিয়াছেন" :-“সৌমার বংশীয় রাজা টুক্সেপাল বৰ্ম্মার

  • 31ानना-नवभव6 ७ठे न९१ कासन २७०२२११ १ जछेवा।