পাতা:রংপুর সাহিত্য পরিষৎ পত্রিকা (সপ্তম ভাগ).pdf/১৯

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

Σ 3 রঙ্গপুর-সাহিত্য-পরিষৎ পত্রিকা তাহাত ঠিক। ঐ আলোকরশ্মিই তেজোনামধেয় ভুত। সৰ্বশেষে ভূত বোম অর্থাৎ আকাশ । শব্দ আকাশের বিশেষ গুণ বলিয়া উল্লিখিত হইয়াছে । কিন্তু একটা অপত্তির কথা এই যে, শব্দ আকাশের গুণ হইল কি করিয়া ? শব্দোৎপত্ত্বি সম্বন্ধে সংক্ষেপত: বৈজ্ঞানিক মত এই, যখন কোন ও বস্তু অগ্রপশ্চাৎদিকে কঁাপিতে থাকে, তখন সেই কম্পন উক্ত বস্তুসংলগ্ন বায়বীয়স্তরে সঞ্চালিত হয়, সেই স্তর আবার স্বকীয় কম্পন তৎসংলগ্ন অন্য বায়ুস্তরে সঞ্চালিত করে, এইরূপে উক্ত কম্পন ক্রমশঃ দৃঢ়তর প্রদেশে সঞ্চালিত হইয়া পড়ে। এইরূপে উক্ত কম্পন যখন কাহারও কর্ণপটহ সংলগ্ন বায়বীয় স্তরে আসিয়া উপস্থিত হয়, তখন কৰ্ণপটহ ও উক্ত কম্পনে কম্পিত হয় এবং পরে স্নায়বীয় ক্রিয়াবশতঃ শব্দ জ্ঞান জন্মে। আর কেবল বায়ুদ্বারাই যে, শব্দ সঞ্চালিত হয়, তাহা নহে, যে কোন ও বায়বীয় পদার্থ দ্বারা উহা সঞ্চালিত হইয়া থাকে। কেবল তাহাঁই বা কেন, তরল ও কঠিন পদার্থ দ্বারা ও শব্দ সঞ্চালিত হইয়া থাকে । কিন্তু যে স্থলে কোন ও বস্তু কঁাপিতেছে, তৎসংলগ্ন চতুদি কাস্থ স্থল যদি সব্ববিধ জড়পদার্থশূন্য অর্থাৎ নিৰ্বাত হয়, তবে কম্পন সঞ্চালি ত হইতে পারে না, সুতরাং শব্দের উৎপত্তি হইতে পারে না । আকাশ শব্দের অর্থ যেখানে কিছুই নাই, অর্থা ২ কঠিন, তরল ও বায় ধীয় পদার্থবিহীন প্রদেশ। আমরা কিন্তু দেখিলাম, নিব্বত প্রদেশে শব্দের উৎপত্তি হইতে পারে DS S DBB KBDBB BDD BBE DBBDBEED DEBD SBgD DB DDDB0 KBD S S LDDE u uD করিয়া দেখা যাউক, শব্দকে কাহার গুণ বলা সঙ্গত । কেহ বীণী:ধ্বনি শুনতেছে বলিলেই বুঝিতে হইবে বীণার তারের কম্পন বায়ুমণ্ডলের মধ্য দিয়া প্রপাহিত হইয়া শ্রোতার কর্ণপাটহে আঘাত করিতেছে । তারের কম্পনকে শব্দের কারণ বলিতে হইবে, কারণ ক‘পন না হইলে কি সঞ্চালিত হইবে ? তারপর যে বায়ুমণ্ডলের মধ্য দিয়া কম্পন স{ঞ্চালিত হইতেছে, তাহাকে ও কারণ বলিতে হয়, কারণ, বায়ুমণ্ডল না থাকিলো কাঞ্চালন হইত কি করিয়া ? তবে শব্দকে কাহার গুণ নলিন ; বায়ুর কি তারের কম্পনের ? বায়ুর গুণ বলিবার বিশেষ কোন ও হেতু পাওয়া যায় না, বায়ু উহার জন্য একটা পথ করিয়া দিয়াছে মাত্র। তবে কি উহ। তারের কম্পনের গুণ ? কম্পন একটি কৰ্ম্ম, উহা দ্রব্য নহে, গুণ দ্রব্যতেই থাকে, কন্মে থাকে না, সুতরাং শব্দকে তারের কম্পনের গুণ ও বলা যাইতে পারে না । তবে কি শব্দ তারেরই গুণ বলিব ? তাহাঁই বা বলা চলে কি করিয়া ? তারের কম্পন না হইলে তা শব্দ হইবে না । সুতরাং যে দ্রব্য তারের কম্পনের আশ্রয় বা আধার, তাহাকেই শব্দ গুণের আধার বা আশ্রয় বলাই সঙ্গত। এক্ষণে একটু বিবেচনা করিয়া দেখিলেই বুঝা যাইবে যে, কম্পমান দ্রব্য প্রকৃতপক্ষে কম্পনক্রিয়ার আধার নহে। কম্পনক্রিয়া অর্থাৎ বস্তুর কি প্রভাবে অগ্রপশ্চাৎগতি সম্পন্ন হইতেছে । আকাশ বা Space অগ্রপশ্চাৎ দিকে আছে বলিয়াই কম্পনক্রিয়া হইতে পারিতেছে। যদি আকাশ আধাররূপে চতুর্দিকে অবস্থিত না থাকিত, তবে দ্রব্যটার অগ্রপশ্চাৎ গতিই সম্ভব হইত না । সুতরাং আকাশকেই আধার বলিয়া গ্ৰহণ করা কৰ্ত্তব্য, তবেই শব্দকে আকাশের বিশেষ গুণ বলা অযৌক্তিক হয় না। তারপর ভূতের যে